Also read in

পরবর্তী লক্ষ্য শেষ দশে স্থান পাওয়া, জানালেন জি টিভি'র সারেগামাপা প্রতিযোগী স্বর্ণালী

শনি আর রবিবার নটা বাজতেই রিমোটটা জি টিভি চ্যানেলে নিয়ে যাওয়ার পুরনো অভ্যাসটা আবার নতুন করে খুশি মনে রপ্ত করছেন শিলচর তথা বরাকবাসী। ২০০৫ সালে দেবজিৎ সাহার দৌলতে শিলচর তথা বরাকবাসী সবচেয়ে খুশি হতেন জিটিভির পর্দায় সারেগামাপা’তে চোখ রাখতে এবং দেবজিতের গান শুনতে। এবার আবারও স্বর্ণালী আচার্য্য’র গান শুনতে শনি ও রবিবার রাত ৯ টায় জিটিভির পর্দায় চোখ রাখতে বরাকবাসীর মন এক ভালোলাগায় ভরে উঠে। জিটিভি’র সারেগামাপা রিয়েলিটি শো’য়ে ১২ বছরের ক্ষুদে শিল্পীর কৃতিত্বে বরাকবাসী আরো একবার গর্ববোধ করার সুযোগ পেলেন।

স্বর্ণালী সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পস্, ২০১৯ এর ট্রফি জয়ের পথে শেষ চৌদ্দতে স্থান করে নিয়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। বিচারকদের স্ট্যান্ডিং পজিশন, তিন বিচারক ও জুরি মেম্বারদের প্রশংসা, সেলিব্রেটিদের স্বর্ণালীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়া অবশ্যই এই ক্ষুদে শিল্পীকে আরো ভালো গান করার জন্য অনুপ্রাণিত করছে, কিন্তু সঙ্গে শিলচরের এই খুদে প্রতিযোগীর গানের প্রতি ভালোবাসা, অক্লান্ত পরিশ্রম ট্রফি জেতার জন্য ভেতরে ভেতরে আরও দৃঢ় করে তুলছে, আরও মনোযোগী করে তুলছে, লক্ষ্যে স্থির থাকতে সাহায্য করছে। জানালেন স্বর্ণালী নিজেই। ” এখন একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে শেষ দশে নিজের স্থান সুনিশ্চিত করা।” শেষ ১৪ তে স্থান করে নিয়ে স্বর্ণালী খুবই খুশি। ” আমরা এসেছিলাম রুপোর জন্য।এই অবস্থায় শেষ চৌদ্দতে স্থান পাওয়াতো আমার জন্য অনেক খুশির ব্যাপার।এবার এতটা এগিয়ে আসতে পেরে সত্যি খুব ভালো লাগছে।”

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে,আরও দুবার স্বর্ণালী প্রতিযোগী হিসেবে এসেছিল সারেগামাপা ও এ্যাণ্ড টিভিতে। দুটোতেই স্টুডিও রাউন্ড পর্যন্ত পৌঁছে আর এগোতে পারেনি। এবার তার টার্গেট ছিল সিলভার রাউন্ড অবধি যেন পৌঁছাতে পারে। অর্থাৎ স্টুডিও রাউণ্ডটা যেন ডিঙোতে পারে। এর পরের ঘটনা সবারই জানা, ৭৫ থেকে স্বর্ণালী স্থান পেল ৫১ জনের মধ্যে, সেখান থেকে ৩০ জনের মধ্যে। এখানে আরও উল্লেখ্য, ৩০ জনের মধ্যে শিলচরের আরও একজন ক্ষুদে শিল্পীও ছিল। নাম সঙ্গীতা দাস। সে অবশ্য শেষ ৩০ অব্দি পৌঁছতে পেরেছিল।

স্বর্ণালীর এ সাফল্যে তার বাবা সন্দীপ আচার্যও ভীষণ ভাবে খুশি। সেই সঙ্গে তিনি আশা রাখছেন তাঁর মেয়ে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এজন্য বরাক উপত্যকা সহ সব জায়গার মানুষের কাছে স্বর্ণালীর জন্য আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন সন্দীপ।

শিলচরের মেয়ে স্বর্ণালী ছোটবেলায় বাবার কাছে সংগীত শিক্ষা শুরু করে। পরে সংগীত শিক্ষিকা তথা বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মৌসুমী চৌধুরীপাল এর কাছ থেকে সংগীত শিক্ষা লাভ করে। সন্দীপ আচার্য স্বর্ণালীর এই সাফল্যে শিক্ষিকা মৌসুমী এবং দেবজিৎ সাহার নাম উল্লেখ করেন। দেবজিৎ সাহা স্বর্ণালীকে এক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করেছেন বলে জানা গেল।

স্বর্ণালী সারেগামাপা রিয়েলিটি শোতে গান গাওয়া ছাড়াও এই প্রতিযোগিতার সুবাদে জি টিভির ‘ইয়ে তেরি গলিয়া’ ধারাবাহিকেও গান গেয়েছে। এখন ক্ষুদে শিল্পী আরো কত দূর এগিয়ে যেতে পারে, সেটা দেখার জন্য স্বর্ণালী এবং তার পরিবারের সবার সঙ্গে বরাকবাসীও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

Comments are closed.