Also read in

ভেঙে পড়ল শিলচর মেডিক্যালের ছাদ, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রোগী, রিপোর্ট তলব হিমন্তের

শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৪ নম্বর ইউনিট অর্থাৎ মহিলা বিভাগের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মহুয়া নাগ নামের এক রোগী। ছাদ ভেঙে পড়ায় ধুলো এবং আবর্জনায় বিভাগের অন্যান্য রোগীদেরও প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ঘঠিত এই ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিভাগের ছাদের রেট্রোফিটিং এর অংশ হঠাৎ করে ভেঙে পড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ছুটে পালাতে বাধ্য হন।প্রত্যক্ষদর্শীর একাংশ ঘটনাটির কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখেন ছাদের উপর কর্মরত একদল লোকের অসাবধানতার জন্যই ওই অংশটি ভেঙে পড়ে। তারা কাজ বন্ধ করতে অনুরোধ করলেও কাজ থামাননি ঠিকাদার রমা দেবের তত্ত্বাবধানে থাকা কর্মচারিরা। পরে পুলিশের ভয় দেখিয়ে কাজ বন্ধ করানো হয়।
৪ নম্বর ইউনিটের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে বাঁচতে কয়েকজন রোগী তড়িঘড়ি করে বেসরকারি হাসপাতালে যেতেও বাধ্য হন।

খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং পৌঁছে যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছেও। তিনি রবিবার মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে সত্বর এর কারণ দেখাতে নির্দেশ দেন। সোমবার উধারবন্দের বিধায়কও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেই অংশ পরিদর্শনে আসেন। তিনি মেডিক্যাল সুপার এ আর বৈশ্য এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। বৈশ্য এটিকে একটি দুর্ঘটনা বলেন এবং ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবেনা বলেও আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “মেডিক্যালের ওই অংশে বিল্ডিংটি আরও এক তলা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এই কাজটি ঠিকাদার রমা দাসকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুরোনো বিল্ডিংয়ের রেট্রফিটিংয়ের কাজের দায়িত্ব মুম্বাইয়ের এক সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। দুই সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকায় হয়ত এই ঘটনা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে আমরা এজন্য দুঃখিত এবং এধরনের ঘটনার যাতে ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেব্যপারে সচেষ্ট থাকব।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কড়া বার্তার ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করলেও এই ঘটনায় প্রাণহানি হতে পারত এটা এড়িয়ে যেতে পারেন না মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের পরিবারের সদস্য সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে এব্যাপারে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা ঘটনার তদন্ত দাবি করেন এবং এধরনের অসাবধানতার জন্য মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

Comments are closed.