ডিজিটাল সোসাইটিতে ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহারের শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়েরই: অরুণ কুমার পূজারী
ইন্টারনেট বা মোবাইল প্রযুক্তি আমাদের জীবনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে, তবে ইন্টারনেটের অপব্যবহারকেও উপেক্ষা করা যাবেনা। যখন তখন ফেক নিউজের মাধ্যমে বিরাট দাঙ্গা বেঁধে যাওয়া আজকের যুগে সাধারণ ঘটনা। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যপারে তরুণ প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করার দায় নিতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেই, এমনটাই মনে করেন রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরুণ কুমার পূজারী।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সোমবার বিপিন চন্দ্র পাল সভাকক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অরুণ কুমার পূজারী সহ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপ চন্দ্র নাথ, রেজিস্ট্রার সঞ্জীব ভট্টাচার্য এবং অন্যান্যরা অংশ গ্রহণ করেন।
অরুণ কুমার পূজারী ‘ডিজিটাল সোসাইটিতে বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব’ শীর্ষক টি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখান। তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল সোসাইটির থার্ড জেনারেশনে রয়েছি যা শুরু হয়েছিল ভারতে কম্পিউটার আসার পর থেকে। তারপর ধীরে ধীরে ইন্টারনেট এবং আজ মোবাইল প্রযুক্তি আমাদের জীবনের বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ইন্টারনেটের অনেক সুফল রয়েছে তবে তার সমানভাবে অপব্যবহারও রয়েছে। আজ যখন-তখন ফেক নিউজের মাধ্যমে দাঙ্গা বাঁধিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং এতে সাহায্য করছে ইন্টারনেট। তাই যুবসমাজকে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ে শিক্ষিত করতে এগিয়ে আসতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেই। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহারের চেতনা ঢুকিয়ে দিতে পারলে তারাই সমাজে এই চেতনাটি ছড়িয়ে দেবে।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপ চন্দ্র নাথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য অতিথিসহ ছাত্র-ছাত্রীদের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি একে অন্যের পাশে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন খেলা এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে কবীন্দ্র পুরকায়স্থ বলেন, আমাদের অঞ্চলে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৫ বছর ধরে যুব প্রজন্মকে অত্যাধুনিক শিক্ষা প্রদান করে আসছে। তবু আজ সমাজে অপরাধমূলক বা অসামাজিক চিন্তা-ধারা কমে আসেনি। অত্যাধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের আদর্শগত শিক্ষারও প্রয়োজন। তাই ভারতীয় চিন্তা ধারাকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ঢুকিয়ে দিতে হবে। আজ যখন-তখন ছাত্রছাত্রীরা ধর্ণায় বসছে, যেগুলো বিষয়ে তাদের কথা বলার নয়, সেসব নিয়ে আন্দোলন করছে। একে অন্যের প্রতি হিংসা ছড়াচ্ছে এবং এতে বাইরের থেকে অপশক্তি এসে সাহায্য করছে। এসব কাজ বন্ধ করতে হলে আমাদের প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষা ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
Comments are closed.