সদর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে উপাধ্যক্ষের স্ত্রীর দোকানে চুরি, পুলিশের ভুমিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ
সমাজের নিরাপত্তা রক্ষার দায় যদি পুলিশের হয় তবে পুলিশ থানার পার্শ্ববর্তী এলাকাই সব থেকে নিরাপদ হওয়ায় কথা। তবে এবার শিলচরের সদর থানার সামনেই ঘটে গেল বিরাট এক চুরির ঘটনা তাও রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ তথা শিলচরের বিধায়ক দিলীপ কুমার পালের স্ত্রী অর্চনা পালের দোকানে।
সদর থানার পাশে জানিগঞ্জ এলাকায় শ্রীমতি অর্চনা পালের মনোরমা ঘি এর দোকান রয়েছে। কর্মচারীদের মতে সোমবার সকালে ১১টা নাগাদ দোকান খুলতে এসে দেখেন দরজা খোলা। ভেতরে ঢুকে তাঁরা বুঝতে পারেন চুরি হয়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
তাঁদের হিসাব মতে প্রায় ৮০ কার্টুন মনোরমা ঘি চুরি হয়েছে। শনিবার রাতে তাঁরা দোকানে তালা দিয়েছিল, রবিবার বন্ধ থাকায় সোমবার সকালেই দোকান খোলা হয়। তাঁদের ধারনা রবিবার রাতেই চুরি হয়েছে।
একই ভাবে প্রেমতলা সংলগ্ন পদ্মা ট্রেডার্স থেকেও কিছু নগদ সহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার জিনিস চুরি হয়। সিদ্ধার্থ বনিক এবং রাজা বনিকের হার্ড ওয়ারের দোকানের পেছনের দরজা ভেঙে ঢোকে চোরেরা। দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার রেকর্ড অনুযায়ী শনিবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে চোরেরা দোকানে ঢোকে এবং দোকানের স্টোর থেকে দামী দামী সরঞ্জাম নিয়ে যায়।
দুই ঘটনায়ই এফআইআর জমা দেওয়া হয় সদর থানায়।
এদিন পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন সহ পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিক দুটো দোকান পরিদর্শন করেন। রাকেশ রৌশন এব্যাপারে বলেন, চুরির ঘটনাগুলো খুব সংগঠিত ভাবে করা হয়েছে। দুটো ঘটনায় একইভাবে চুরি করা হয়েছে তাই এটি একই দলের কাজও হতে পারে। ঘটনাগুলোর তদন্ত করা হবে এবং অতি সত্বরই দোষীদের ধরার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে সদর থানার সামনে এভাবে সংগঠিত চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে শহরের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
উপাধ্যক্ষ দিলীপকুমার পালও এব্যাপারে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। তিনি নিজে গিয়ে দোকানগুলো পরিদর্শন করেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।
Comments are closed.