Also read in

"এরাই তো রক্তদান আন্দোলনের ভবিষ্যত; বড় হও, অনেক বড়!"

ছোট্ট মেয়েটির নাম ইক্ষিতা। সমসাময়িক উচ্চারণে ইকশিতা। সাকুল্যে কুড়িটি বসন্ত দেখেছে, আজ অব্দি।

ফেসবুকে রক্তদান সংক্রান্ত আমার বিভিন্ন পোস্ট দেখে দেখেই উদ্বুদ্ধ হওয়া। মাস ছয়েক আগে একদিন ফোন করে জানালো, সেও রক্তদান করতে চায়। কিন্তু সমস্যা রয়েছে। থাইরয়েডের সমস্যা। নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। ওর উৎসাহ দেখে জানালাম, আগে সুস্থ হয়ে নাও পুরোপুরি। ডাক্তারের কাছে গিয়েও ওই একই আব্দার। স্যার, আমি রক্তদান করতে চাই। তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দিন, প্লিজ। আগে ওষুধ খেতে যদি বা একটু গাফিলতি থাকত, এবার থেকে মা কে আর মনে করিয়ে দিতে হয়না। ডাক্তারের বিধান মেনে ঘড়ি দেখে ওষুধ খাওয়া শুরু হলো। ফলও মিলল হাতেনাতে।

গত ১৫ অক্টোবর ছিল জন্মদিন। চেয়েছিল সেইদিনই রক্তদান করতে। কিন্তু রক্তের একটা রিপোর্ট এসে না পৌছানোয় ডাক্তারবাবু অনুমতি দিলেন না। দুদিন দেরিতে মুম্বাই থেকে এলো সেই রিপোর্ট। এখন সে থাইরয়েড থেকে এখন সে মুক্ত। আর দেরি নয়, ২০ অক্টোবর এলো সেই দিন।

রাঙ্গিরখাড়িতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ট্রেনিং একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত আমাদের রক্তদান শিবিরে জীবনের প্রথম রক্তদান করল ইকশিতা। বেডে শুয়েই ডেকে নিলো, ও কাকু, কাকু, একটা ফটো থাকুক তোমার সাথে।
এটা গতকাল তার প্রথম রক্তদানের ছবি। এরাই তো রক্তদান আন্দোলনের ভবিষ্যত। বেঁচে থাকো মা। বড় হও, অনেক বড়!

Comments are closed.