নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর নদীতে পাওয়া গেল রংপুরের যুবকের মৃতদেহ
৫ ডিসেম্বর রংপুর থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন রাজু রাজক নামের এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে মালুগ্রামের ঘনিয়ালা সংলগ্ন বরাক নদীর জলে থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এলাকাবাসীরা মৃতদেহটি জলে ভাসতে দেখেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে শিলচর মেডিকেল কলেজে পাঠায় এবং কোন ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিনা, সেটা দেখে। তবে তখন পর্যন্ত কোন ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার এজাহার জমা পড়েনি। পরে রাজু রাজকের পরিবারের সদস্যরা সদর থানায় অভিযোগ জানান যে তাকে খুন করা হয়েছে।
তার বড় ভাই উমেশ রজক মঙ্গলবার সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন এবং তার ভাইয়ের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার দাবি জানান। জানিগঞ্জ মহাবীর মার্গের বাসিন্দা উমেশ রজক জানিয়েছেন, তার ভাই রাজু রজক স্ত্রীকে নিয়ে রংপুরে ভাড়া থাকতো। ৫ ডিসেম্বর সে নিখোঁজ হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে খোঁজার জন্য তিনদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, এমন কোনও জায়গা তারা বাকি রাখেননি যেখানে ভাইয়ের যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, মঙ্গলবার মালুগ্রাম থানার তরফে জানানো হয়, রাজু রজকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। খবর শুনে পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে পুলিশের তরফে জানানো হয় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। পরে পরিবারের হাতে মৃতদেহ সমঝে দেওয়া হয়। রাতে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে শিলচর শ্মশানঘাটে মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
শিলচর সদর থানার তরফে দিতুমণি গোস্বামী এব্যপারে বলেন, “মঙ্গলবার দুপুরে বরাক নদীতে মৃতদেহ পাওয়া যায়, আমাদের আধিকারিকরা সেটি উদ্ধার করেন এবং পরে তার পরিচয় জানা গেছে। তবে নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ জানানো হয়নি, তাই এটি অপহরণ না অন্যকিছু সেটা এখনো পরিষ্কার হয়নি। পরিবারের তরফে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।”
Comments are closed.