Also read in

অপরাজিত থেকেই সেমিফাইনালে গেল টাউন ক্লাব, শেষ ম্যাচে দাঁড়াতেই পারলো না ইটখোলা

লিগ স্তরে অপরাজিতই রইল টাউন ক্লাব। শুক্রবার তারা নিজেদের শেষ ম্যাচে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দেয় ইটখোলা এসিকে। সুপার ডিভিশন লিগে প্রথম চার ম্যাচে অপরাজিত ছিল ইটখোলা ও। তবে শেষ ম্যাচে তারা এই ছন্দটা ধরে রাখতে পারল না। এছাড়া টাউন ক্লাবের বিরুদ্ধে এদিন তারা পূর্ণশক্তির দল ও মাঠে নামাতে পারেননি। তাই বলে কোনো অবস্থাতেই টাউন ক্লাবের এই প্রদর্শনকে খাটো করা যাবে না। বরং শেষ ম্যাচেও তারা দেখিয়ে দিয়েছে তাদের স্কোয়াডে কতটা গভীরতা রয়েছে।

এদিন সকালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইটখোলার অধিনায়ক সমিক দাস। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় তার সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যায়। ৩৪ ওভারে ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায় ইটখোলা। উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন সমীক দাস (১৯), অভয় কুমার যাদব (১৮), ইকরামুল আলী (১৪), আব্দুল হাসান লস্কর (১৫) ও সুদর্শন সিনহা (১৩)। দারুণ বোলিং করেন বিকি রায়। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া অনুরাগ সিনহা ও সৌরভ কুমার সিং নেন দুটি করে উইকেট।

চলতি সুপার ডিভিশনে দারুণ ফর্মে রয়েছে টাউন ক্লাবের ব্যাটিং ইউনিট। ফলে এই রান তাড়া করা তাদের পক্ষে তেমন কঠিন ছিল না। যদিও শুরুতেই টাউন ক্লাব কে একটা ধাক্কা দেন সমীক দাস। তবে বাঁহাতি তারকা মজিবুর আলী ও ইয়াসির আলীর দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ১৩.১ ওভারে খুব সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাউন ক্লাব। ৪৫ বলে অপরাজিত ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইয়াসির। তার এই হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে ছিল কয়েকটি দেখার মত শট। মুজিবুর অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন ইয়াসির। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সমর রায়।
আগামীকাল লিগে গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে ইউনাইটেড ক্লাব মুখোমুখি হবে ত্রিবেণী ক্লাবের। ম্যাচটা উভয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ত্রিবেণী জিতলে তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট আদায় করে নেবে। হারলেও তাদের সামনে শেষ চারের সুযোগ থাকছে। ‌ একইভাবে ইউনাইটেডের ও হেরে গেলে একটা সুযোগ থাকবে শেষ চারে খেলার। তবে এর জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের দিকে। আবার ইউনাইটেড জিতে গেলেও অপেক্ষা করতে হবে ইন্ডিয়া ক্লাব বনাম যোগাযোগ ম্যাচের। যোগাযোগ শেষ ম্যাচে জিতে গেলে এবং ত্রিবেনীর বিরুদ্ধে ইউনাইটেড জিতে গেলে তখন এই তিনটি দলের পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়াবে ৮ এ। সেক্ষেত্রে যে দুটি দলের রান রেট ভালো থাকবে তারাই তৃতীয় ও চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে খেলবে। মজার বিষয় হলো, কাল যদি ত্রিবেণী জিতে যায় তাহলে শেষ চারের একটা স্থানের জন্য লড়াই হবে ইউনাইটেড ক্লাব, ইন্ডিয়া ক্লাব এবং যোগাযোগ সংঘের মধ্যে। আবার এই তিনটি দল থেকেই যেকোনো একটি দলের অবনমন ঘটে যাবে সুপার ডিভিশন থেকে। ‌ এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা ইন্ডিয়া ক্লাবের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। শেষ ম্যাচে যোগাযোগের বিরুদ্ধে তাদের শুধু জিতলেই হবে না, জিততে হবে বিশাল ব্যবধানে। কারণ রানরেটে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে তারা। এখানে আরো একটা অংক কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে। ইন্ডিয়া ক্লাবের সামনে এখনো সেমির রাস্তা খোলা রয়েছে। তবে তার জন্য প্রথমে ইউনাইটেডের কাল হারতে হবে। তারপর তাদের যোগাযোগের বিরুদ্ধে বিশাল ব্যবধানে জিততে হবে। সব মিলিয়ে সুপার ডিভিশনের লিগের অন্তিম পর্ব দারুণ জমে উঠেছে।

Comments are closed.