করোনা আতঙ্কের মাঝেই ঘুরে দাঁড়াবার লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। ফের একবার যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যায়, তার জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে। খেলাধুলার মাঠেও কোভিড আতঙ্কের মাঝেই মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা চলছে। রাজ্য সরকারের জারি করা নতুন এস ও পি তে খেলার মাঠে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যাপারে কোনও বিধি নিষেধ রাখা হয়নি। অনেক শহরেই ইতিমধ্যে নানা ক্যাম্প এবং প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে। অবশ্য কোভিড প্রটোকল মেনেই ক্যাম্প অথবা প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। এবার শিলচর ফুটবল অ্যাকাডেমিও নিজেদের ফুটবল প্রশিক্ষণ শুরু করে দিল। আনুষ্ঠানিকভাবে গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষণ। এতে কোচিং দিচ্ছেন অ্যাকাডেমির দুই কোচ নান্টু দাস এবং গাইহাম রংমাই।
প্রতিদিন সকালে অ্যাকাডেমির মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রশিক্ষণ। এখন পর্যন্ত অনূর্ধ্ব ১০ বয়স গ্রুপের ৩-৪ জন এতে অংশ নিয়েছেন। কথা ছিল ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সের একটা গ্রুপকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে কোভিড পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক না হওয়ায় অনেকেই মাঠ মুখো হইতে চাইছেন না। প্রতিদিন সকাল ৬:৩০ থেকে ৮ টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কোভিড প্রটোকল মেনেই চলছে অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষণ।
একে তো করোনা আতঙ্ক তার মধ্যে আবার গত কয়েকদিন থেকেই সকালে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে অনেকেই মাঠ মুখো হতে চাইলেও আবহাওয়ার জন্য আসতে পারছেন না। তবে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে গেলে প্রশিক্ষণে ভালো সাড়া মিলবে। এমনটাই বিশ্বাস কোচ নান্টু দাসের।
করোনা মহামারীর জেরে গতবছর শিলচরের গোটা ফুটবল মরশুম বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এবারও পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নেই। সাময়িক প্রসঙ্গ মহিলা কাপ দিয়ে ফুটবল মরশুম শুরু হলেও করোনার থাবায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে এবারকার ফুটবল মরশুম। তাই এমন একটা অনিশ্চয়তার আবহে শিলচর ফুটবল অ্যাকাডেমির এই প্রশিক্ষণ কিন্তু স্থানীয়দের জন্য টনিকের কাজ করতে পারে।
কোচ হিসেবে শিলচর ফুটবল অ্যাকাডেমিতে এটাই নান্টুর প্রথম এসাইনমেন্ট। বেঙ্গালুরুর ক্লাব কিকস্টার্ট ফুটবল এফ সিতে কোচিং এর সঙ্গে খেলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। সেখানে মূলত জুনিয়র স্তরেই কোচিং করিয়েছেন। অনূর্ধ্ব ১০, ১৩ ও ১৬ গ্রুপে কোচিং করিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে চেন্নাইয়ের এফসি মেরিনা তেও কোচ হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে নান্টুর। এবার সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে এখানকার উঠতিদের সাহায্য করতে চান। জুনিয়র স্তর থেকে ভালো মানের খেলোয়াড় তুলে আনতে চান। নান্টু জানান, শুরুতে শুধু বেসিকের দিকেই জোর দিচ্ছেন। তিনি আরো জানান, প্রশিক্ষণের যোগ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তার সঙ্গে ৩-৪ জন যোগাযোগ করেছেন। তিনি মনে করেন একবার কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে প্রশিক্ষণ শিবিরে দারুণ সাড়া মিলবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, কিছুটা দেরিতে হলেও করোনার আতঙ্ক পাশ কাটিয়ে শুরু হচ্ছে স্থানীয় ক্লাব, অ্যাকাডেমীর প্রশিক্ষণ। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে নিজেদের প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করেছিল উধারবন্দের টেবিল টেনিস ক্লাব। যা বন্ধ হয়ে থাকা স্থানীয় খেলাধূলার জন্য বিরাট ইতিবাচক দিক।
Comments are closed.