
ট্রাক ড্রাইভার পালিয়ে আসেনি, তবে সে কোভিড ১৯ পজিটিভ কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না, জানালেন কর্মকর্তা
আঞ্চলিক গণমাধ্যমের একটি সংবাদ অনুযায়ী কোভিড ১৯ পজিটিভ এক ট্রাক চালক ত্রিপুরা থেকে করিমগঞ্জে পালিয়ে এসেছেন। অন্যদিকে এক সূত্র অনুসারে জানা গেল, ট্রাকচালক গত ৬ মে করিমগঞ্জের কায়স্থগ্রামে তার নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এখানে উল্লেখ্য, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব গত ৮ মে এই ট্রাক ড্রাইভার সম্পর্কে টুইট করেন।
আজ সকালে নিলামবাজারের সার্কেল অফিসার সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই ট্রাকচালকের বাড়িতে ছুটে যান। নিলাম বাজারের সার্কেল অফিসার ট্রাকচালকের ব্যাপারে জানান,”পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার আজ সকালেই এই ট্রাকচালকের ব্যাপারে আমাদের জানিয়েছিলেন, যার কোভিড ১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং সে এখন করিমগঞ্জে তার বাড়িতে রয়েছে।তারপরই আমরা সবাই সেই ট্রাকচালকের বাড়িতে পৌঁছাই এবং পরিবারের সবাইকে কোয়ারান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এখন রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখনই অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা প্রদানকারী এই ট্রাক ড্রাইভার করোনা আক্রান্ত কিনা তা বলা ঠিক হবে না।”
একজন কর্মকর্তা এও বললেন, “তিনি একটি ট্রাক চালান, যে ট্রাক গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করে। এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা এবং রাস্তায় এর চলাচল করার অনুমতি রয়েছে,সেটা আমরা জানি। কাজেই তার পালানোর কোন প্রশ্নই উঠে না।”অথচ টেলিভিশনে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয় যে কোভিড ১৯ পজিটিভ হওয়ার পরই সেই ট্রাক চালক পালিয়ে গিয়েছিল।
সবকিছু মিলিয়ে বরাক উপত্যকার জনগণ রাজস্থান থেকে কাছাড়ে আসা বাসের সঙ্গে এই ট্রাকের তুলনা করছেন। সেই বাসে করে আসা যাত্রীদের দশ জনের কোভিড ১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। এক কর্মকর্তা বললেন, কিন্তু এটি তো একটি ট্রাক মাত্র এবং সেই ট্রাকটি অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী সরবরাহ করে। কাজেই এক্ষেত্রে সেরকম তুলনার প্রশ্নই উঠে না।
মেডিক্যাল দল ইতিমধ্যে সেই ট্রাক ড্রাইভারের লালারস পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করেছে। কাজেই রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে সেই ট্রাক ড্রাইভারের পরিবারের ২১ জন সদস্যকে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে।
Comments are closed.