সৈদপুরে যুবকের মৃতদেহ, 'ড্রাগসের ওভারডোজ না পরিকল্পিত খুন!' তদন্তে পুলিশ
শিলচর শহর থেকে অদূরে সৈদপুর চতুর্থ খণ্ডে জাতীয় সড়কের পাশে জঙ্গলের আড়ালে এক অপরিচিত ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিকেল তিনটে নাগাদ স্থানীয় লোকেরা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে তাদের খবর দেন। মৃতদেহ কিছুটা পুরনো, ফলে লোকটির মৃত্যুর বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেছে বলেই মনে করছে পুলিশ। তার সঙ্গে কোনও পরিচয় পত্র পাওয়া যায়নি যেটা দিয়ে সনাক্ত করা যাবে।
রাঙ্গিরখাড়ি ইনচার্জ সমরজিৎ রায় জানিয়েছেন, মৃতদেহ পাওয়া গেছে এই খবর পাওয়ার পর তারা দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেটি উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া লাশের মুখে রুমাল ঢুকানো ছিল। এবং দুই পায়ে কিছু জখমও দেখা যায়। এছাড়া পাশে সিরিঞ্জ এবং ছোট ছোট কৌটো পাওয়া গেছে। ছেড়া হাফ জিন্স প্যান্ট পরা যুবকের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। আনুমানিক বছর ত্রিশের যুবকের নেশায় মৃত্যু না খুন বোঝা না গেলেও মুখের ভিতরে রুমাল ও জখম দেখে সন্দেহ হচ্ছে পুলিশের।
তিনি বলেন, “এটা নিছক নেশাগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু না পরিকল্পিতভাবে খুন এব্যাপারে তদন্ত চলছে। তবে ময়নাতদন্তে বেশ কিছু তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। মৃতদেহ আমরা শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। পাশাপাশি তার পরিবারের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা চলছে। পুলিশের অধীনে যেসব হারিয়ে যাওয়া লোকের তালিকা রয়েছে সেটাও খুঁজে দেখা হবে।
দক্ষিণ সৈদপুরের প্রাক্তন জিপি সভাপতি আবজল হুসেন লস্কর জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল তিনটে নাগাদ এক মহিলা গরু আনতে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মৃতদেহটি দেখতে পান। তিনি প্রথমে ভয় পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে আসেন এবং এলাকার অন্য লোকেদের খবরটি জানার। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা লক্ষ্য করেছেন মৃতদেহটি এলাকার কোনও ব্যক্তির নয়।
যেহেতু মৃতদেহের পাশে সিরিজ এবং ড্রাগসের কৌটো পাওয়া গেছে, কেউ কেউ মনে করছেন ড্রাগসের ওভারডোজের ফলেও মৃত্যু হতে পারে। এতে আবার প্রমাণ হয়েছে কাছাড় জেলার বিভিন্ন এলাকায় ড্রাগসের রমরমা চলছে। একাংশ এলাকাবাসী এও বলেছেন, স্থানীয় বিভিন্ন এলাকায় ড্রাগস বিক্রির কেন্দ্র রয়েছে, কম বয়সী যুবকেরা খুব সহজে ড্রাগস নিজের হাতে পাচ্ছেন। তবে এর বিরুদ্ধে সরাসরি পুলিশে যাওয়ার সাহস অনেকেই করেন না, কারণ পাচারকারীদের মধ্যে অনেক প্রভাবশালী লোকের নাম রয়েছে।
Comments are closed.