Also read in

রাজ্য সরকারের এসওপিকে মেনেই করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দিতে দুর্গাপুজো, "আমরা রাজ্যের বাইরে নই," বললেন জেলাশাসক দাহাল

মঙ্গলবার সারা রাজ্যের জন্য দুর্গাপূজা উৎসবের গাইডলাইন জারি করেছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে যেমন রয়েছে নানান বিধিনিষেধ রয়েছে, তেমনিই রয়েছে অনেক ছাড়ও। বিভাগের পক্ষ থেকে আইএএস সমীর সিনহা পরিষ্কারকরে বলে দিয়েছিলেন, এই নির্দেশ রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় সমানভাবে প্রযোজ্য। যদিও বুধবার কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জাল্লি নিজস্ব একটি গাইডলাইন জারি করেছেন যা স্বাস্থ্যবিভাগের গাইডলাইন থেকে আলাদা। তবে হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জের জেলাশাসক রাজ্য সরকারের পথেই চলবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুই জেলায়ই এব্যাপারে বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছিল এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী দুর্গাপূজা উৎসব আয়োজন করা হবে।

হাইলাকান্দির জেলাশাসক মেঘ নিধি দাহাল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা এব্যাপারে বৈঠক আয়োজন করেন। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেহেতু রাজ্যের প্রত্যেক জেলার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে তারাও সেই নির্দেশ অনুযায়ী চলবেন। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যবিভাগ যে নির্দেশ জারী করেছেন সেটা রাজ্যের প্রত্যেক জেলার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। আমরা তো আর রাজ্যের বাইরে থাকিনা, বা আলাদা কোনও সরকার চালাইনা, যে রাজ্য সরকারের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আরেকটি নিজস্ব নির্দেশ জারি করবো।”

করিমগঞ্জের জেলাশাসক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটাই পুরো জেলায় পালন করা হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের এসওপির কপি জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়েছে। করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ফেইসবুক হ্যান্ডেলে গাইডলাইনের সম্পূর্ণ কপি আপলোড করা হয়েছে, যাতে জেলার প্রত্যেক মানুষ এব্যাপারে সচেতন হতে পারেন। হাইলাকান্দির জেলাপ্রশাসনও আগামীতে এভাবেই গাইডলাইনের সম্পূর্ণ কপি জনসমক্ষে তুলে ধরবে, বলে জানানো হয়েছে।

২ অক্টোবর কাছাড় জেলায় একটি গাইডলাইন জারি হয়েছিল সেটা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। তবে কাছাড় জেলা ছাড়া রাজ্যের কোনও জেলা নিজের মতো করে গাইডলাইন জারি করেনি। সেইসময় করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি জেলাশাসককের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেছিলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার নির্দেশ পেলেই তারা নিয়মাবলী তৈরি করবেন।

১৬ সেপ্টেম্বর মুখ্য সচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণা পুজো নিয়ে একটি নিয়মাবলীর তালিকা জেলাশাসকের পাঠিয়েছিলেন। তবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার শেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগে হাতে। যেহেতু কোভিড পরিস্থিতি রয়েছে, তাই স্বাস্থ্যবিভাগের তড়পে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যে নির্দেশ জারি করা হবে, সেটাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগের পক্ষ থেকে সমীর সিনহা জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি বারবার পর্যালোচনা করার পরেই শেষমেষ একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জারি করা হয়েছে। নির্দেশটি রাজ্যের ৩৩ জেলার জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। তবে তাদের বলা হয়েছিল, পুরও নির্দেশটি খতিয়ে দেখতে। এরপর একটি বৈঠক আয়োজন করে এব্যাপারে আলোচনা করতে। হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জের জেলাশাসক নির্দেশমতো বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তারা জানিয়ে দিয়েছেন, জেলায় রাজ্য সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী পুজো হবে।

তবে কাছাড় জেলায় এমন কোনও বৈঠক হয়নি এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশকে সরাসরি মানাও হয়নি। তবে শেষমেষ হয়তো রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে কাছাড়ের জেলা প্রশাসন থেকে জারি করার নির্দেশ খারিজ করা হবে এবং স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশমতো পুজো আয়োজন হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দুর্গাপুজো নিয়ে সারা রাজ্যের জন্য যে নির্দেশ জারি করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে:

১) পূজো আয়োজনের জন্য ক্ষেত্রে প্রথমেই যেগুলো করতে হবে:

ক) বারোয়ারি পুজো করতে হলে আয়োজকদের প্রথমে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

খ) জেলা প্রশাসন জেলার পুজো কমিটি/ আয়োজকদের নিয়ে অতিসত্বর একটি বৈঠক আয়োজন করবেন এবং কিভাবে স্বাস্থ্যবিভাগের প্রটোকল অনুযায়ী পূজা আয়োজন করা যায় সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। পুজো আয়োজন হবে কিন্তু কোনভাবেই যাতে কোভিড প্রটোকল না ভাঙ্গে এদিকে প্রত্যেককে নজর রাখতে হবে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন পুজো কমিটিদের পাশে থেকে সাহায্য করবে।

২) প্যান্ডেল বানানোর ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে:

ক) প্যান্ডেল খোলামেলা হবে এবং বিভিন্ন দিকে দরজা রাখা হবে।

খ) ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা থাকবে যাতে দর্শকদের উপস্থিতিতে দূরত্ব রাখা সম্ভব হয়। একসঙ্গে যাতে ৩০ জনের বেশী মানুষ জড়ো না হন সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি প্যান্ডেলের সাইজ ছোট হয়, তাহলে এই সংখ্যা কমিয়ে ১০ পর্যন্ত আসতে পারে।

গ) সকালের অঞ্জলি প্রদান থেকে সন্ধ্যার আরতি, সবক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কোভিড নিয়মাবলী পালন করতে হবে।

ঘ) পুজোর প্যান্ডেলে ঢোকার এবং বেরিয়ে যাওয়ার আলাদা আলাদা গেট থাকতে হবে এবং যাতে কোনোভাবেই ভিড় না জমে।

ঙ) মন্ডপের ভিতর ফ্লোর মার্কিং করতে হবে, দর্শনার্থীরা কোন দিকে ঢুকবেন, কোন দিকে বেরিয়ে যাবেন কোথায় থেকে প্রণাম করবেন পুরো বৃত্তান্ত ফ্লোর মার্কিংয়ের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হবে।

চ) স্বেচ্ছাসেবীদের আগে থেকে ভালো করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে তারা যাতে পুরো ব্যাপারটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারেন।

৩) পুজো মণ্ডপে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বাধ্যতামূলক:

ক) প্রত্যেক দর্শনার্থীকে মাস্ক পড়তেই হবে, মন্ডপের ঢোকার এবং বেরিয়ে যাওয়া রাস্তায় সেনিটাইজার রাখতে হবে। এব্যাপারে পুজো কমিটিকে নজরদারি রাখতে হবে।

খ) যদি কোনও দর্শনার্থী মাস্ক আনতে ভুলে যান, সেক্ষেত্রে আয়োজকদের কাছে অতিরিক্ত মাস্ক থাকতে হবে যেটা মণ্ডপে ঢোকার আগে দর্শনার্থীকে দিয়ে দেওয়া হবে।

গ) পুজোর মণ্ডপ দিনে অন্তত দুবার পুরোপুরিভাবে সেনিটাইজ করতে হবে।

৪) মন্ডপের ভেতরের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে:

ক) আয়োজকদের তরফে ঠিক করা স্বেচ্ছাসেবীরা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর নজরদারি রাখবেন, বিশেষ করে শারীরিক দূরত্বের ব্যাপারে।

খ) পুজো কমিটির সদস্য, পুরোহিত, তার সহযোগীরা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা, প্রত্যেকের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। অন্তত পঞ্চমীর দিনে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সহযোগিতা করবে।

গ) প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীকে মাস্ক অথবা ফেইস শিল্ড ব্যবহার করতে হবে এবং তারা নিজেরাও যেন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখেন, সেটা নজর রাখতে হবে।

ঘ) পুজোর যে মুহূর্তগুলো বেশি জনসমাগম সম্ভব, যেমন অঞ্জলি প্রদান, আরতী এবং প্রসাদ বিতরণ ইত্যাদি সময়ে বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে যাতে কোনোভাবেই কোভিড প্রটোকল অমান্য করা না হয়।

ঙ) পুরোহিত মন্ত্রোচ্চারণ, অঞ্জলি প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাইক্রোফোন ব্যবহার করবেন, যাতে কম আওয়াজের জন্য ভক্তরা এক জায়গায় জড়ো না হয়ে পড়েন।

চ) যারা অঞ্জলি প্রদান করবেন তাদের বলা হচ্ছে, সম্ভব হলে বাড়ি থেকে ফুল-বেলপাতা নিয়ে আসবেন এতে শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকবে এবং ফুল-বেলপাতা আদান প্রদানের মাধ্যমে কারও সংস্পর্শে আসতে হবে না।

ছ) কোনও ধরনের প্রসাদ বিতরণের অনুমতি থাকছে না। তবে আয়োজকরা চাইলে প্যাকেট প্রসাদ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রেও সাবধানতা বজায় রাখতে হবে।

৫) পুজোর দিনগুলোয় সাধারণ মানুষের চলাফেরার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে:

ক) রাত দশটার মধ্যে প্রত্যেক পুজো প্যান্ডেল বন্ধ করে দিতে হবে। এই নির্দেশ পালন করার দায় থাকবে পুজো কমিটির উপর।

খ) দ্বিচক্রযান চলার ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে দুইজন পুরুষ একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবেননা। একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা বা একজন পুরুষের সঙ্গে ১৫ বছরের নিচের শিশু এক বাইকে চলাফেরা করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রেও শুধুমাত্র দুজন ব্যক্তি এক বাইকে উঠতে পারবেন, তিনজন নন।

৬) পুজোর আগে, পুজোর দিনগুলোয় এবং পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে:

ক) পুজোর আগে, পুজোর দিনগুলোয় এবং পুজো পরবর্তী সময়ে কোনও ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা চলবে না। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের কড়া নির্দেশ, কোনভাবেই যাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা না হয়। নিয়ম ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

৭) রাস্তার পাশে ছোটখাটো দোকান বা মেলা আয়োজন পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে:

ক) দশমী থেকে শুরু করে বিসর্জনের পুরো সময় জেলা স্তরে ড্রাই-ডে ঘোষণা করা হবে।

খ) সব ধরনের রেস্টুরেন্ট বা স্থায়ী খাবার দোকান রাত ৯ টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। তবে দোকান খোলার ক্ষেত্রেও স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

গ) পূজোকে সামনে রেখে কোনও ধরনের মেলা আয়োজন করা চলবে না। রাস্তার পাশে কোনও খাবার দোকান বা অস্থায়ী রেস্টুরেন্ট খোলা চলবে না। এতে জনসমাগম হতে পারে, তাই দোকানগুলো বন্ধ করা হচ্ছে।

 

৮) স্থানীয় সংবাদপত্র এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে বলা হচ্ছে তারা যেন সচেতনতা বিষয়ক সংবাদ পরিবেশন করেন:

ক) স্থানীয় সংবাদপত্র ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সংবাদ পোর্টালদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, তারা যেন পুজোর এই সময়ে কোভিড-১৯ নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতামূলক সংবাদ প্রচার করেন। পাশাপাশি শারীরিক দূরত্বও রাখা সেনিটাইজার মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তারা যেন জনগণকে সচেতন করেন।

খ) কোনভাবেই যাতে ভুল তথ্য জনসমক্ষে প্রচার না হয় এদিকে তাদের নজর রাখতে হবে।

 

৯) পুজো উদ্বোধন নিয়ে যাতে বড় ধরনের অনুষ্ঠান না হয়:

ক) পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন অথবা বিসর্জন নিয়ে যাতে কোনওভাবে বড় অনুষ্ঠান না হয়, এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খ) প্রয়োজনে অনলাইনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে পুজো উদ্বোধন করতে পারেন, তবে তারা যেন মন্ডপে উপস্থিত না হয় কাজটি করেন, এদিকে নজর রাখতে হবে।

গ) উদ্বোধনের সময় যেসব ব্যক্তি মণ্ডপে থাকবেন তাদের ক্ষেত্রেও মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

ঘ) বিসর্জনের আগে পুজোর ঘাট পুরোপুরিভাবে স্যানিটাইজ করতে হবে। ঘাটে কোনও ধরনের জনসমাগম চলবে না। একবারে একটি প্রতিমাই ঘাটে প্রবেশ করবে, সেটা বিসর্জন হলে দ্বিতীয় প্রতিমা নিয়ে আয়োজকেরা প্রবেশ করতে পারবেন।

ঙ) বিসর্জনের প্রক্রিয়া জেলা প্রশাসন নির্দিষ্টভাবে পরিকল্পনা করবে। পুজো কমিটিগুলোকে আগে থেকে সময় দিয়ে দেওয়া হবে, তারা সেই নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিমা নিয়ে ঘাটে আসবেন। কোনও ধরনের শোভাযাত্রা হবে না, একটি প্রতিমার সঙ্গে ১০ জনের বেশি বিসর্জন ঘাটে প্রবেশ করবেন না। তবে প্রতিমার সাইজ কতটা হবে, বা এক কাঠামো করতে হবে কিনা এব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি।

১০) রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন পুজো আয়োজনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে আয়োজকদের পাশে থাকবে। এছাড়া যেসব সামাজিক সংগঠন এসব কাজে সাহায্য করতে প্রস্তুত, তাদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। প্রশাসনের উপর যেসব দায়িত্ব থাকবে সেটা হচ্ছে:

ক) অগ্নিনির্বাপক বিভাগের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকতে হবে, সঙ্গে অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবেলাবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে হবে।

খ) পুজোর দিনগুলোয় এবং পরবর্তীতে এলাকার স্বচ্ছতা বজায় রাখার দায়িত্ব পুরসভা বা গাঁও পঞ্চায়েতের।

গ) বিদ্যুৎ বিভাগকে পুজোর সময় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে চান সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাশুল নিয়ে তাদের পরিষেবা দিতে হবে।

ঘ) জেলা প্রশাসনের যেসব এলাকায় প্যান্ডেল বানিয়ে পুজোর অনুমতি দেবে, সেগুলোর সুরক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে।

ঙ) জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগকে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহের দিকে নজর রাখতে হবে। যাতে উৎসবের মরসুমে পানীয় জল নিয়ে কোন ধরনের অসুবিধা না হয় তার দায়িত্ব এই বিভাগের উপর দেওয়া হয়েছে।

Comments are closed.