
নজিরবিহীন ঘটনা: আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য সাময়িক বরখাস্ত
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ডঃ সঞ্জীব ভট্টাচার্য, যার স্থান ঠিক উপাচার্যের পরেই, তাকেই সাসপেন্ড করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ; ভট্টাচার্যের সাসপেনশনের নির্দেশ জারি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রদোষ কিরণ নাথ।
শুক্রবার বিকেলে ডক্টর সঞ্জীব ভট্টাচার্যের সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ ই-মেইলে পাঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য ছুটিতে থাকায় এই দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী রেজিস্ট্রার নাথ। সিসিএস রোল ১০(১) অনুযায়ী রেজিষ্ট্রার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ধারা সাধারণত কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য প্রয়োগ হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ডঃ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে বরখাস্ত করার জন্য সরব হয়েছিল ছাত্রসংসদ; এমনকি উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রতিম সাহা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, সঞ্জীব বাবুর বিরুদ্ধে ভুরিভুরি দুর্নীতির অভিযোগ জমা রয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক দুর্নীতির তদন্ত করেছেন এবং প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন, সেখানে সঞ্জীব বাবুকে নির্দোষ প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।
ডঃ ভট্টাচার্যের সাসপেন্ড হওয়ার খবরে সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ।
রেজিস্ট্রার সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য বর্তমানে এলটিসি নিয়ে ছুটি কাটাতে রাজস্থানে রয়েছেন। এই ঘটনার খবরে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এবং গোটা ব্যাপারটা তার কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন
Comments are closed.