
আদালত চত্বরের পাঁচিল সেজে উঠছে বিভিন্ন চিত্রাঙ্কনে
আদালত চত্বরের পাঁচিলের সামনে দাঁড়িয়ে কদিন পরে যদি সেলফি তুলতে দেখা যায় তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। এক সুন্দর প্রয়াসে আদালত চত্বরে থাকা পাচিলগুলো সুদৃশ্য চিত্রাংকনে সেজে উঠছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি।
এই উদ্যোগ আজ সকালে শুরু হয়েছে; প্রায় কুড়ি পঁচিশ জন শিল্পী ইতিমধ্যেই রং, তুলি, পেন্সিল নিয়ে কাজে নেমে পড়েছেন।
“আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোর্ট চত্বরকে সুদৃশ্য করে তোলা, এই ব্যাপারে আদালত কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়েছেন এবং ইতিমধ্যে বিভিন্ন চিত্রকলা স্কুল থেকে শিল্পীরা যোগদান করেছেন। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়, শিলচরের ললিতকলা বিভাগ থেকেও প্রতিনিধিরা এসে এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন” জানালেন আদালতেরই একজন আধিকারিক।
বরাক উপত্যকার সংস্কৃতি এবং ন্যায়ভিত্তিক শিল্পকর্ম আঁকার জন্য তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ এবং আগামীকাল এই দেওয়াল চিত্রাংকন হবে। অনেক দর্শক ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাপারটা দেখছিলেন। এই উদ্যোগ রূপায়নে বিভিন্ন চিত্রকলা সংস্থাগুলোর ভ্রাতৃত্ব মুলক আচরণের কর্তৃপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ।
আজ দুপুরে প্রায় ৬০-৭০ জন লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন, এদের মধ্যে একজন বললেন, “আমরা ওদের শিল্পকর্ম দেখছি- কি করে একটা সাদামাটা পাঁচিলকে এত সুন্দর রূপ দেওয়া যায় তা দেখে অভিভূত হয়েছি। এটা একটা বিরাট বড় উদ্যোগ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এবং ভবিষ্যতে যদি অন্যান্য সরকারি দপ্তরের দেওয়াল গুলো এরকম চিত্রাঙ্কনে সেজে ওঠে তাহলে সেই দেওয়াল নোংরা করা, পানের পিক ফেলা ইত্যাদিও বন্ধ হতে পারে।”
এখানে উল্লেখ্য, সম্প্রতি উইমেন্স কলেজের দেওয়ালেও এরকম সুদৃশ্য চিত্রাংকন করা হয়েছে। ওই দেওয়ালে মাদার টেরেজা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অন্যান্য চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। তাই এভাবে পাঁচিলে চিত্রাংকন যদি জনপ্রিয় হয়, তাহলে শিলচর শহর সুদৃশ্য হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য।
Comments are closed.