"ভিএইচপি সদস্যরা হামলা করেছিল," প্রাথমিক এজাহার দায়ের করে জাবির আহমেদ; "এটা বদনাম করার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র," ভিএইচপি সভাপতি
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি সংগঠন বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর চালানো সহিংসতার প্রতিবাদে একটি বিশাল বাইক রেলি বের করে। ভিএইচপির নেতারা “জয় শ্রী রাম” স্লোগান তুলে রাস্তায় মিছিল করেন। তারা ক্ষুদিরাম মূর্তির কাছে বক্তৃতা করেন এবং তারপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে সমাবেশ শেষ করেন।
সমাবেশটি ব্যাপকভাবে পুলিশ বাহিনী দ্বারা সুরক্ষিত ছিল । তবে এই স্থানের কাছাকাছি শহরের অন্য একটি স্থান থেকে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। কালাইনের বাসিন্দা, জাবির আহমেদ বড়ভুইয়া শিলচর সদর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করে জানিয়েছেন যে, গৈরিক পোশাক পরিহিত কয়েকজন ছেলে তাকে আক্রমণ করে এবং পেছন থেকে তাকে বোতল দিয়ে আঘাত করে। তার এফআইআর অনুসারে, ঘটনাটি ঘটে নরসিং স্কুলের কাছাকাছি কোথাও যখন তিনি ক্যাপিটাল ট্রাভেলস পয়েন্ট থেকে জানিগঞ্জ যাচ্ছিলেন ।
কাছাড়ের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি সুকান্ত নায়েক এই ধরনের হামলায় সংগঠনের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। “আমরা সেই পথ গ্রহণ করিনি। আমাদের বাইক রেলি কখনোই ওই স্থানে যায়নি। এটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে বদনাম করার পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। কাছাড়ের জেলা শাসক আমাকে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন, আমি তার কাছে একই কথা বলেছি। আমরা বাইক রেলির জন্য অনুমতি নিয়েছি এবং রুট উল্লেখ করেছি। ক্যাপিটাল ট্রাভেলস পয়েন্ট আমাদের চলার রাস্তায় নেই নেই এবং তিনি সে বিষয়ে ভালোভাবে অবগত,” নায়েক বলেন।
তিনি আরও বলেন, “গত রাতে কাছাড়ের জেলা শাসক একটি জরুরি মিটিং ডেকেছিলেন এবং আমরা সহযোগিতা করেছিলাম। সেখানে আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে, আমরা এমন কিছু করব না যা শান্তি শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করে। আজ বিশাল সাইকেল রেলি হয়েছে তবে পুরোটাই ছিল খুবই সংগঠিত । আমরা বেশ কয়েকটি মুসলিম প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের মধ্য দিয়ে গেছি কিন্তু কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গতকাল, আমরা এটা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে প্রশাসনের উচিত তৃতীয় পক্ষের লোকেদের উপর নজর রাখা কারন তারা হয়তো উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। আজ ও আমি পুনরাবৃত্তি করব যে, এই হামলায় তৃতীয় পক্ষের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রশাসনকে তদন্ত করতে হবে। এটি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনার অনুরূপ যেখানে হনুমানের পাদদেশে কোরান রাখা হয়েছিল। ”
কাছাড়ের পুলিশ সুপার রমণদীপ কৌর বলেন, “একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। এফআইআরে যে স্থানটি উল্লেখ করা হয়েছে তা বাইক রেলির নির্দিষ্ট রাস্তায় নয়। হামলার পিছনে কারা আছে তা বের করার জন্য আমরা তদন্ত করব।”
এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। কাছাড়ের জেলা শাসক কীর্তি জল্লি বরাক বুলেটিনের সাথে কথা বলার সময় বলেন, “আমরা আইনী পথ গ্রহণ করছি। জনসাধারণকে আবেগের বশীভূত না হওয়ার অনুরোধ করুন। পুলিশ এবং প্রশাসন ইতিমধ্যেই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন। আমি সব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে অসাধারণ সমর্থন পাচ্ছি।”
শান্তি বজায় থাকূক। আসুন আমরা যেন আবেগের দ্বারা চালিত না হই।
Comments are closed.