Also read in

বিসর্জন ঘাটে অশান্তি : "পুলিশ আমাদের নির্যাতন করেছে," সাংসদ রাজদীপ রায়ের নমিনি পুলক দাস

বিসর্জনের দ্বিতীয় দিনে রাত বাড়ার সাথে সাথে শিলচরের বিভিন্ন অঞ্চলে সমস্যা দেখা দেয়। দেবদূত পয়েন্টে একটি পূজা কমিটির সদস্যদের সাথে আরেকটি কমিটির সদস্যরা কলহে লিপ্ত হন। তবে, সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে বিসর্জন ঘাটে যখন ‘শ্যামানন্দ লেন দুর্গা পূজা কমিটি’ তাদের প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন ঘাটে পৌঁছায়। কাছাড় জেলা প্রশাসন কর্তৃক জারি করা তালিকায় এই পুজা কমিটিকে ৩৩ নং হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং সকাল ৭-০০ টা থেকে রাত ৯-০০ টার মধ্যে এই প্রতিমা বিসর্জনের কথা ছিল।

পুলিশ কর্মকর্তারা শিলচর সদরঘাটের বিসর্জন ঘাটে সাধারণ জনতার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন। প্রতিটি পূজা কমিটির সীমিত সংখ্যক কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে ঘাট চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নিরাপত্তাকর্মীরা শ্যামানন্দ লেন পূজা কমিটির সদস্যদের থামান এবং বলেন সবাই বিসর্জন চত্বরে ঢুকতে পারবেন না শুধু কয়েকজন যেতে পারবে । উত্তেজনা বাড়তে থাকে সদস্যরা বলেন, “আমরা এমপির লোক”। “আমি নই,” উত্তর দিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। স্বেচ্ছাসেবীরা তখন জোর করে ঘাটে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং সেই সময় পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।

এই প্রসঙ্গে সাংসদ নমিনি পুলক দাস বলেন, “পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেছেন তা অগ্রহণযোগ্য।” পুলক দাস বলেন,”আমি তাদেরকে বলেছিলাম, আমি এখানে সংসদ সদস্য ডাঃ রাজদীপ রায়ের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছি, তবুও তারা আমাদের কথা শোনেনি বরং আমাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। আমরা পুলিশ কর্মকর্তাদের এই ধরনের কাজের নিন্দা জানাই।”

তিনি বলেন, “আমরা গত ৩১ বছর ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছি এবং এই ৩২ তম পুজোর
প্রতিমা বিসর্জন করতে এসেছি। কখনও আমরা এই ধরনের পুলিশ হামলার মুখোমুখি হইনি। আমরা সমস্ত কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করেছি এবং তবুও আমরা পুলিশি নির্যাতনের শিকার হই, আমরা এর প্রতিবাদ করি।” তিনি তখন মাস্ক পরিহিত ছিলেন না। জেলা প্রশাসনের স্লট অনুযায়ী, এই কমিটির বিসর্জনের সময় ছিল সকাল ৭ টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে আর অশান্তির ঘটনাটি ঘটে রাত ৯-৪৫ মিনিট নাগাদ।

উত্তেজনা বেড়ে গেলে শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী হস্তক্ষেপ করেন। তিনি বিসর্জন ঘাটে ছুটে যান এবং পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে কথা বলেন। বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন, “আমাকে জানানো হয়েছে যে, পুলিশ কর্মকর্তারা একটি পূজা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। কি ঘটেছে তা বুঝতে আমি উর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করছি।”

কাছাড়ের অতিরিক্ত এসপি পার্থ প্রতিম দাস বরাক বুলেটিনকে জানান যে, সবকিছু শান্তিপূর্ণ রয়েছে এবং আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে পুলিশ কাউকে আটক করেনি।

Comments are closed.