বিজেপি জিপি সভাপতি সুখেন্দু হত্যাকাণ্ডে রিঙ্কু সেনাপতিকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি স্ত্রী রূপার
ঝাপিরবন্দ টিপাইপুঞ্জিতে দুষ্কৃতিদের গুলিতে হত হাতিছড়ার জিপি সভাপতি সুখেন্দু দাসের হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনক পাঁচজনকে আটক করা হলেও হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ । তবে স্বামী সুখেন্দু দাসের হত্যার ঘটনায় রিঙ্কু সেনাপতিকে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আর্জি জানালেন নিহত হাতিছড়ার জিপি সভাপতি সুখেন্দু দাস ওরফে সিবুলের স্ত্রী রূপা দাস ।
শুক্রবার প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রূপা দাস তার শ্বশুর সুনীল দাসকে পাশে বসিয়ে তিনি এই প্রতিবেদকে জানান, তার স্বামী সুখেন্দু দাসের মৃত্যুর পর নয় বছরের ছেলে শুভম দাস ও তিন বছরের শুভদীপ দাসকে নিয়ে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন । গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যার পর রিংকু সেনাপতি তার স্বামীকে একটি সভায় যাওয়ার কথা বলে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যায় । রিংঙ্কুর ডাকে স্কুটি নিয়ে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে যান । লেবুরবন্দ সড়কে থাকা শনি মন্দিরের সামনে যাওয়ার পর সুখেন্দুর স্কুটির চাকার হাওয়া চলে যায় । তখন তিনি স্কুটিটি বাড়িতে রেখে রিঙ্কু সেনাপতির বাইকে চড়ে চলে যান । তারপর রাত নয়টা নাগাদ বাড়িতে খবর আসে কে বা কারা তার স্বামীর উপর গুলি চালিয়েছে ।
তার স্বামী সুখেন্দু দাসের হত্যার পিছনে কিছুই জানা নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিপি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে তার স্বামী ছোটখাটো পাথরের ব্যবসা করতেন । তার স্বামী সুখেন্দু দাসের সঙ্গীদের মধ্যে রিঙ্কু সেনাপতি নিজাম উদ্দিন ও মন্টু চক্রবর্তী সমন্ধে জানা থাকলেও, বাকিদের বিষয়ে তার কিছু জানা ছিল না । তিনি আরও বলেন, রিঙ্কু সেনাপতি, নিজাম উদ্দিন ও মন্টু চক্রবর্তীর সঙ্গে তার স্বামীর সুসম্পর্ক ছিল । নির্বাচনের সময় তারা বিভিন্ন ভাবে তার স্বামীকে সহযোগিতা করেছিলেন ।
নিহত সুখেন্দু দাসের পিতা সুনীল দাস জানান, ছেলে পাথরের ব্যবসায় জড়িত রয়েছে তা তিনি আগে জানতেন না । ঘটনার পনেরো বিশ দিন পূর্বে সুখেন্দু দাসের কাছে খবর আসে যে, সোনাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে সুখেন্দু দাসের নামে পাথর বের করা হয়ে থাকে । বিষয়টি জানার পর সুখেন্দু দাস আপত্তি তুলেন এবং একটি পাথর বোঝাই গাড়ি উধারবন্দের রেঞ্জারকে দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছিলেন । তখন তিনি পাথরের ব্যবসার কথা জানতে পারেন । তাই সুখেন্দু হত্যার পেছনে পাথর সিণ্ডিকেট জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা । তার ব্যবসা সহ সব বিষয়ই রিঙ্কু সেনাপতি জানতেন। রিঙ্কু সেনাপতিকে তদন্তের আওতায় এনে জেরা করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবি করেন সুখেন্দুর পরিবারের লোকেরা ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ হাতিছড়া জিপির টিপাইপুঞ্জিতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারিয়ে ছিলেন হাতিছড়া জিপি সভাপতি সুখেন্দু দাস (সিবুল) এবং আহত হয়েছিলেন তার সঙ্গী রিঙ্কু সেনাপতি ।
Comments are closed.