Also read in

৫ মাসের অপহৃত শিশু উদ্ধার না হলে প্রটোকল ভেঙ্গে রাস্তায় বসে পড়ব: আমিনুল

করোনা ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর, আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। হাসপাতাল থেকে তিনি ফোনে নিজেই খবরটি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন তার শরীর সুস্থ, মনের দিক দিয়েও জোর পাচ্ছেন। পাশাপাশি জেলার প্রত্যেক ব্যক্তিকে এগিয়ে এসে সোয়াব টেস্ট করাতে আবেদন জানিয়েছেন সোনাই সমষ্টির বিধায়ক।

গতকাল তার সমষ্টির অন্তর্গত কাজীডহর এলাকা থেকে ৫ মাসের একটি শিশু অপহৃত হয়েছে। হাসপাতালে বসেই তিনি শিশুটির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জোর গলায় বলেছেন, “আমার সমষ্টি থেকে একটি পাঁচমাসের শিশুর অপহরণ করা হয়েছে, এই যন্ত্রনায় আমি মানসিকভাবে ভুগছি। পুলিশের সঙ্গে এব্যাপারে কথা হয়েছে কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। ডাক্তাররা আমাকে বলেছেন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাত দিন বাড়িতে থাকতে হবে, এটাই প্রটোকল। তবে আমার সমষ্টির শিশুটি উদ্ধার আমার কাছে বেশি প্রয়োজনীয়। যদি আমি হাসপাতাল থেকে বেরোনোর আগে শিশুটি উদ্ধার না হয়, তাহলে সব প্রটোকল ভেঙে আমি তার বাড়িতে যাব। আমার শরীর কিছুটা দুর্বল, ডাক্তাররা বলেছেন বিশ্রাম নিতে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আমি বিশ্রাম নিতে পারছিনা, প্রয়োজনে আমি রাস্তায় বসে ধরনা দেব, কিন্তু শিশুটি উদ্ধার হতেই হবে।”

অপহরণ সূত্রে এক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে এব্যাপারে কোনও বয়ান আসেনি। শুধুমাত্র বলা হয়েছে, ঘটনার উচ্চপদস্থ তদন্ত চলছে। শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করাই সবথেকে বড় লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর ২৮ জুলাই কোভিড পজিটিভ হন। তিনি সিম্পটোমেটিক আক্রান্ত এবং শারীরিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল ছিল। ফলে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তার শরীরে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গুয়াহাটি থেকে প্লাজমা এনে গত শুক্রবার তার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এটি বরাক উপত্যকার প্রথম প্লাসমা থ্যারাপি।

উপাধ্যক্ষ পজিটিভ হওয়ার পর সাংসদ রাজদীপ রায় জানান, আমিনুল হক লস্কর সম্প্রতি ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় উপসর্গে ভুগছিলেন, তার খানিকটা ডায়াবেটিসও রয়েছে। একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে নিজে থেকেই এগিয়ে এসে সোয়াব স্যাম্পল পরীক্ষা করিয়েছিলেন, এতেই রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়। তিনি নিজে থেকেই বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। বাড়িতেই নিজেকে আলাদা করে রেখেছিলেন। এতে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে আমাদের সচেতন হতে হবে এই বার্তার মাধ্যমে সমাজে আবার পৌঁছে গেছে।

শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উপাধ্যক্ষের যেহেতু জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ রয়েছে তাই তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই অত্যন্ত সাবধানতার মধ্যে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। তার শরীরে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করা হয় এবং তিনি তাড়াতাড়ি সেরে ওঠেন। এবার তাকে এক সপ্তাহ বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Comments are closed.