শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে ত্রিশটি বগিকে আইসোলেশন ওয়ার্ড বানানোর কাজ চলছে
যাত্রীরেলের চাকা আপাতত না ঘুরলেও ভারতীয় রেল এই সংকটের সময়ে বসে নেই। মালগাড়ী গুলোর মাল বহনের তৎপরতা বরঞ্চ আগের থেকে একটু বেড়েছে। এবার করোণা মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে রেলওয়ে দপ্তর।
ইতিমধ্যে পরীক্ষামুলকভাবে রেলওয়ে কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তর সফল হয়েছে। এবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল করোণা মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে ৩৫০ টি কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এই প্রয়াসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এক সপ্তাহের মধ্যে শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে টাকা ৩০টি বগিকে আইসোলেশন কোচ হিসেবে রুপান্তর করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই কোচগুলোতে সম্ভাব্য রোগীদের জন্য বিছানা এবং বাথরুমে ব্যবস্থা করা হচ্ছে, ব্যবস্থা করা হচ্ছে ডাক্তার নার্সদের জন্য। এই কভিড-১৯ ভাইরাস যদি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ও মহামারী রূপে দেখা দেয় এবং ইতিমধ্যে তৈরি করা হাসপাতালগুলোতে জায়গা অপ্রতুল হয়ে যায়, তখন এই কোচগুলোকে কাজে লাগানো হবে। তাছাড়া এগুলোকে শহর থেকে অন্যত্র সহজেই নিয়ে যাওয়া যাবে।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোচিং এবং ডিপো অফিসার রবীন্দ্র পাথার গতকাল জানিয়েছেন যে, আজকের মধ্যে সাতটি কোচের কাজ শেষ হয়ে যাবে এবং সাত দিনের মধ্যেই বাকিগুলো কাজ ও শেষ হবে। “প্রধান সদর দপ্তর থেকে আমাদের যেভাবে টার্গেট দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। এই কোচগুলো আমাদেরকে অনেক মোবিলিটি এনে দেবে। এগুলো এখানে ব্যবহার করা যাবে এবং প্রয়োজনে বাইরে অন্যত্র খুব কম সময়ের মধ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এই টার্গেট সঠিকভাবে রূপায়িত করতে লকডাউনের মধ্যে ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা খুব মেহনত করছেন”।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় রেলের এই প্রয়াস প্রশংসার যোগ্য।
Comments are closed.