Also read in

আবার টিপারের চাকায় পিষে মারা গেলেন শহরের এক পথযাত্রী

গত কয়েক বছরে টিপারের চাকায় পিষে অনেকেই মারা গেছেন, অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, ফলে তাদের দৌরাত্ম্য একফোঁটাও কমে যায়নি। বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে এক পথযাত্রীকে টিপারের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ দিতে হলো। ঘটনাটি ঘটেছে শিলচর শহর সংলগ্ন কাঁঠাল রোড এলাকায়, মহর্ষি বিদ্যামন্দির থেকে অদূরে দুপুর ১টা নাগাদ। মৃত ব্যক্তির নাম শিবু দাস। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, তিনি রাস্তা পার হচ্ছিলেন তখন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আসা টিপার তাকে ধাক্কা মারে এবং তার উপর দিয়ে চলে যায়।

পেশায় ঠোঙা বিক্রেতা শিবু দাস পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন।

ঘটনায় এলাকায় প্রবল ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, এলাকাবাসীরা এতে অত্যন্ত উত্তেজিত। ঘটনার পর তারা রাস্তাটি অবরোধ করেন এবং বাধ্য হয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়।

এলাকাবাসীরা বলেন, “কাঁঠাল রোড এলাকায় দুটি বড় বড় বিদ্যালয় রয়েছে, এছাড়া এই স্থানটিতে রয়েছে ঘনজনবসতি। অথচ রাস্তার পাশে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যবসা গড়ে উঠেছে, রাস্তার একটা বড় অংশ জুড়ে ট্রাক ইত্যাদি রেখে দেওয়া হয়। এতে রাস্তা সংকীর্ণ হয়েছে এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

 

অতীতে সাংবাদিক মলিন শর্মার মৃত্যুর পর সাধারণ মানুষ গর্জে উঠে ছিলেন। চাপের মুখে প্রশাসন ট্রাক-টিপার ইত্যাদি চলার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ গড়ে তুলেছিল। আমরা চাই সেই নিয়মগুলো আবার চালু হোক। এভাবে সাধারণ মানুষ গাড়ির নিচে পিষ্ট হয়ে মারা যাবেন এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

ঘটনার পর টিপারের চালক পালিয়ে যেতে সমর্থ হলেও এলাকাবাসীরা গাড়ির নম্বর লিখে রেখেছেন। হয়তো এর সহায়তায় গাড়ির পুরো তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। তারা গাড়ির নম্বরটি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন, এবার পুলিশের দায়িত্ব সেটি খুঁজে বের করা।

এলাকাবাসীদের চাপে ট্রাফিক পুলিশ তৎক্ষণাৎ এলাকায় দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রাক এবং টিপারগুলোকে সরে যেতে বলে। তবে এটাই শেষ নয়, সমস্যা সমাধান করতে পুলিশকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, এমনটাই মনে করেন এলাকাবাসীরা।

Comments are closed.