Also read in

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং চিড়িয়াখানা : বিশেষজ্ঞদল আসছেন আগামীকাল

বরাক উপত্যকার জনগণ কিছুদিনের মধ্যেই উপহার পাচ্ছেন চিড়িয়াখানা তথা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র। এই স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য গত ৩রা সেপ্টেম্বর ধলাই অঞ্চলের রজনীখাল পরিদর্শন করেন। আগামীকাল এক উচ্চস্তরীয় বিশেষজ্ঞ দল ঐ স্থানটি পরিদর্শনে আসছেন।

ধলাই এলাকার হাওয়াইথাং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে এক অনুষ্ঠানে বনবিভাগের আধিকারিকরা জানান, এই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র তথা চিড়িয়াখানা প্রকল্প বরাক উপত্যকার জন্য এক বিশেষ পরিচায়ক হয়ে উঠবে। তারা প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন যে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উপত্যকার পর্যটন মানচিত্রে এক বিরাট উত্তরণ ঘটবে। তারা আরো জানান, বিশেষজ্ঞ দলটি আগামীকাল এখানে এসে বিভিন্ন ধরনের টেকনিক্যাল দিকগুলো খতিয়ে দেখার পর আসল কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে।

সংবাদ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্য বন সংরক্ষণ আধিকারিক (সিসিএফ) সুমন মহাপাত্র জানান, এটা বনবিভাগের একটি স্বপ্নের প্রকল্প। তিনি মত প্রকাশ করেন, যে এই চিড়িয়াখানা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র অনেক দুষ্প্রাপ্য এবং লুপ্তপ্রায় প্রাণীকুলকে রক্ষা করবে। তিনি আরো বলেন, এই ধরনের একটা কেন্দ্র জনগণের প্রতি মধ্যে প্রকৃতি এবং প্রাণীকূলকে বাঁচিয়ে রাখার প্রবনতা ও সচেতনতা সৃষ্টি করবে।

কাছাড় জেলার বন আধিকারিক (ডিএফও) সানি দেও চৌধুরী প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের কঠোর প্রয়াসের কৃতিত্ব প্রদান করেন। তিনি বলেন, বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য ব্যক্তিগতভাবে এই প্রকল্পটি রূপায়নে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। “চিড়িয়াখানা রজনী খালে স্থাপিত হচ্ছে, বিশেষজ্ঞ কমিটি আসছেন স্থান নির্ধারণের জন্য। মন্ত্রী নিজে বিভাগীয় উচ্চস্তরীয় আধিকারিকদের সাথে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে সবকিছুর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়”, বলেন তিনি।

এই চিড়িয়াখানা স্থাপন করার জন্যই কি কিছুদিন আগে রজনী খালে এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল, সংবাদ প্রতিনিধিদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএফও জানান যে প্রস্তাবিত চিড়িয়াখানাটি রজনী খালের উচ্ছেদ করা জমিতে নয়, অন্য একটা স্থানে হচ্ছে। “তবে ভবিষ্যতেও আমরা বনবিভাগের জমিতে অবৈধ বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাব” জানান তিনি।

Comments are closed.