Also read in

100 Thousands going to be foreigners? NRC claim-objection pace is very slow, Vote-Fever captured Barak.

পঞ্চায়েত নির্বাচনের জ্বরে রীতিমতো কাবু বরাক উপত্যকার তিন জেলা, গ্রাম গ্রামান্তরের আম জনতা  রীতিমতো ব্যস্ত ওই  নির্বাচন নিয়ে। এদিকে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির পুনরাবেদন  সহ দাবি আপত্তির  সময়সীমা শেষ হচ্ছে  আগামী পনের ডিসেম্বর।  হাতে রয়েছে মাত্র চৌদ্দ দিন।  কিন্ত তাৎপর্যপূর্নভাবে বরাক উপত্যকার তিন জেলার অধিকাংশ খসড়া-ছুট এখন অবধি দাবি আপত্তি পেশের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন।  জানা গেছে, হাইলাকান্দি সহ বরাকের তিন  জেলার  অধিকাংশ খসড়া ছুট  এখন অবধি কোন আবেদন পত্র জমা দেন নি।  গত ত্রিশ জুলাই নাগরিকপঞ্জির সম্পূর্ণ খসড়া প্রকাশের পর দেখা গেছে  হাইলাকান্দি  জেলার  প্রায় সত্তর হাজার লোকের নাম নানা কারণে বাদ পড়েছে।  কিন্ত দাবি আপত্তি দাখিল পর্বের প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও দাবি আপত্তি নিয়ে এ জেলার খসড়া ছুট লোকদের মধ্যে কোন তৎপরতা নেই।

হাইলাকান্দি জেলার সত্তর হাজার খসড়া ছুট লোকের মধ্যে মাত্র আঠারো হাজার লোক পুনরাবেদন করেছেন ।  দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ লোক পুনরাবেদন করেননি।। হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে কোন ভিড় নেই।  এন এস কে’র কর্মীরা দিনভর  সেবা কেন্দ্রে বসে থাকলেও  খসড়া ছুট লোকদের দেখা নেই। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে গ্রামাঞ্চলে চলছে জোর প্রচারাভিযান।  নির্বাচন নিয়ে পুরোপুরি ব্যস্ত গ্রাম হাইলাকান্দির জনসাধারণ।  অথচ  এরই ফাঁকে আগামী পনের ডিসেম্বর  শেষ হয়ে যাচ্ছে  নাগরিকপঞ্জির দাবি আপত্তির সময়সীমা।৷ এরপর আর কোন দাবি আপত্তি গ্রহণ করা হবে না।।

অন্যদিকে আপত্তির ক্ষেত্রেও এ জেলার সংখ্যা নেই বললেই চলে।   হাতে গোনা মাত্র পাঁচ ছ’টি আপত্তি এখন পর্যন্ত  জমা পড়েছে।  তন্মধ্যে লালা সার্কলের টান্টু ধনিপুর এন এস কে তে চারটি আপত্তি জমা পড়ার খবর পাওয়া গেছে।। আলগাপুর রাজস্ব চক্রে খসড়া ছুটদের মধ্যে সত্তর শতাংশ লোক এখন পর্যন্ত আবেদন করেন নি।  মাত্র ত্রিশ শতাংশ লোক পুনরাবেদন করেছেন ।  কাটলিছড়ায় মাত্র ছ’হাজার,  হাইলাকান্দিতে মাত্র সাত হাজার,  আলগাপুরে চব্বিশ শো,  লালায় মাত্র তিন হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ার খবর পাওয়া গেছে।  আর অনুমান করা হচ্ছে,  অর্ধেকের বেশি খসড়া ছুট ফের আবেদন করবেন না।  বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এন এস কে তে রীতিমতো পুলিশি প্রহরায়  সেবা কেন্দ্রের কর্মীরা  বসে রয়েছেন।  অথচ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে ভাবে কম্যুনিটি লেভেল মিটিং হওয়ার কথা ছিল তাও এ জেলায় চোখে পড়ছে না ।  খসড়া ছুট লোক কিংবা সাধারণ জনতাকে সচেতন করে তুলতে ব্রম্মপুত্র উপত্যকায় ব্যাপক হারে কম্যুনিটি লেভেল মিটিং হলেও সন্দেহজনকভাবে হাইলাকান্দি জেলায়  এ ধরনের  কোন সভা সমিতি চোখে পড়ছে না।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পনের ডিসেম্বরের মধ্যে খসড়া ছুটদের নিকটবর্তী এন এস কে তে গিয়ে আবেদন পত্র, দাবি, আপত্তি  জমা দিতে বলা হচ্ছে।  এক্ষেত্রে  সেবাকেন্দ্রের কর্মীরা সবধরনের  সহযোগিতা করবেন।  ভুল ভ্রান্তি নিয়ে কারেকশন ফর্মও এন এস কেতে দেওয়া হচ্ছে।  যদিও এখন অবধি অনলাইনে কারেকশন পর্ব  এ জেলায় শুরুর কোন খবর পাওয়া যায় নি।  আগামী পনের ডিসেম্বরের মধ্যে যদি বরাক উপত্যকার তিন জেলার লক্ষাধিক খসড়া ছুট  দাবির আবেদন না করেন তাহলে তারা কি বিদেশি হচ্ছেন এ প্রশ্ন উঠা  স্বাভাবিক ।। বরাকের তিন জেলার  লক্ষাধিক লোক  পুনরাবেদন দাখিল করতে না পারলে  সকলে  যে  বিদেশি সেটা বলাও  নিঃসন্দেহে কঠিন।

Comments are closed.