12 hour Silchar Bandh spontaneous, so far peaceful
আজ ভোর থেকেই সর্বাত্মক শিলচর বন্ধ সফল করে তুলতে পিকেটাররা সক্রিয় হয়ে ওঠেন, সহযোগিতা করেন সাধারণ জনগণ ও। সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন মহিলা পিকেটাররা। প্রেমতলা থেকে রাঙ্গিরখাড়ি পর্যন্ত পিকেটারদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। রাঙ্গিরখাড়ি পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে হজ্বযাত্রী বা রোগীদের সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে তারপর যেতে দিচ্ছিলেন ওরা। সাধারণত বন্ধে দ্বিচক্রযানকে চলাচল করতে বাধা দেওয়া হয় না, তবে এই বন্ধে স্কুটি, মোটরসাইকেল এমনকি সাইকেল ও আটকে দেওয়া হয়, তবে এতে অবশ্য কোন ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়নি।
শহর এলাকার দোকানপাট গুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ ছিল। এমন কি অলি গলিতে ছোট ছোট দোকান গুলো বন্ধ রেখেছিলেন দোকানদারেরা। রাস্তায় যানচলাচল প্রায় বন্ধ ; শহর এলাকার বেশিরভাগ ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি অফিসে সকাল থেকে পিকেটাররা হাজির থাকায় সেগুলো বন্ধ ছিল। তবে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে ।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে ১১টায় তারাপুর ফায়ার সার্ভিসের সামনে বিটিএনের সাংবাদিক মলিন শর্মাকে একটি টিপার নৃশংসভাবে ‘খুন’ করে পালিয়ে যায় । শহরে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে প্রশাসন এবং ট্রাফিক ব্যবস্থার দৈন্যতা নিয়ে সরব হয়ে উঠেন শিলচর বাসীরা। টিপার চালকের গ্রেফতার তথা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সকাল পাঁচটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শিলচর বন্ধ ডাকা হয়।
এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে কোথাও বড় ধরনের কোনো অশান্তির সংবাদ নেই। তবে ক্যাপিটাল পয়েন্টে সিআরপিএফ জওয়ান কর্তৃক এক মহিলা পিকেটারটাকে মারধর করার ঘটনার খবর এসেছে। এদিকে, জেলা উপায়ুক্তের সঙ্গে আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আসছে ..
Comments are closed.