144 starts today as Barak Valley to caste vote on April 18
আজ বিকেল পাঁচটায় বন্ধ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার এবং সেই সময় থেকেই বলবৎ হবে ১৪৪ ধারা। ভোট পর্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ১৮ এপ্রিল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্ত লায়া মাদ্দুরি। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোট দানের জন্য সবেতন ছুটি থাকছে সরকারী-বেসরকারী দপ্তর, প্রতিষ্ঠানে।
১৮ এপ্রিল ১৪৪ ধারার অধীনে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞার কথা জানান জেলাশাসক। ভোট কেন্দ্রের ২০০ মিটার এলাকায় কোন ধরনের নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করা যাবে না, লাগানো যাবে না ব্যানার-ফেস্টুন প্রার্থীর প্রতীক চিহ্ন বা প্রচার সামগ্রী। ২০০ মিটার এলাকার বাইরেও নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদেরকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অগ্রিম আবেদন জানিয়ে অনুমতি পেলে তবেই কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। তবে, এই কার্যালয়গুলোতেও কোন ধরনের প্রচার সামগ্রী রাখা যাবে না। কার্যালয়ে ভীড় করা চলবে না, ভোট দিয়ে কেউ কার্যালয়ে এসে দাঁড়াতে পারবেন না।
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলোতে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না জানিয়েছেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট । গাড়িগুলোতে অস্বচ্ছ কাঁচ ব্যবহারে নিষিদ্ধ আরোপ করা হয়েছে, সেরকম থাকলে তাড়াতাড়ি খুলে নিতে বলা হয়েছে। মাদ্দুরি জানান, জেলার ১০০টি পোলিং স্টেশনে ওয়েবকাস্ট মারফত নজরদারি করবে নির্বাচন কমিশন। এই ওয়েবকাস্ট শুধু নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ দেখতে পাবেন।
ভোটার স্লিপ দিয়ে ভোট দেওয়া যাবে না, লাগবে প্রয়োজনীয় নথি। ভোট দানের জন্য সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্র (ইপিক-কার্ড) না থাকলে এই ১১টি নথির মধ্যে যেকোনো একটি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
১)পাসপোর্ট, ২)ড্রাইভিং লাইসেন্স, ৩) কেন্দ্রীয়- রাজ্য- আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান-পাবলিক সেক্টর ইউনিট প্রদত্ত ফটো সম্বলিত পরিচয় পত্র, ৪)ব্যাংক ডাকঘর প্রদত্ত ফটো সম্বলিত পাসবুক, ৫) প্যান কার্ড, ৬) জাতীয় নাগরিক পঞ্জির অধীনে ভারতীয় রেজিস্টার জেনারেল কর্তৃক প্রদত্ত স্মার্ট কার্ড, ৭) এমজিএনরেগা জব কার্ড, ৮) শ্রম মন্ত্রকের প্রকল্পের অধীনে স্বাস্থ্য বীমা স্মার্ট কার্ড, ৯) ফটো সম্বলিত পেনশন নথি (পিপিও), ১০) সাংসদ, বিধায়ক, বিধান পরিষদের সদস্যদের প্রদত্ত সরকারি পরিচয় পত্র, ১১) আধার কার্ড।
উল্লেখিত নথির মধ্যে কোন একটাও না থাকলে ভোট দিতে দেওয়া হবে না।
Comments are closed.