Also read in

20 Burmese betel nut loaded truck seized by public, mysteriously allowed to depart

শিলচর তথা কাছাড় জেলায় অবৈধভাবে বার্মিজ সুপারি, কয়লা, পাথরের সিন্ডিকেটরাজ চলে আসার অভিযোগ অনেক পুরনো।প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে বারবার অভিযোগের আঙুল উঠেছে। রবিবার রাতে আবার এ ধরনের অভিযোগে জনগণ সোচ্চার হয়ে উঠলেন যখন ন্যাশনাল হাইওয়েতে দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক একটি ই-রিক্সাকে ধাক্কা মারে।

ঘটনায় প্রকাশ, এই দুর্ঘটনার পর রবিবার রাতে ন্যাশনাল হাইওয়েতে বার্মিজ সুপারি বোঝাই প্রায় কুড়িটি ট্রাককে জনগণ আটক করেন।রবিবার রাত প্রায় ১২ টায় ই-রিকশাকে ধাক্কা মারার পর ট্রাক আটক করে জনগণ নিকটবর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। কিন্তু খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি বলে জনগণের অভিযোগ। ই-রিক্সার যাত্রী আহত না হলেও রিক্সাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যান্য কয়েকটি ট্রাককে আটক করা হলেও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ট্রাকটি পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। আটক ট্রাকগুলোর চালকদের কাছ থেকে জানা যায় যে ট্রাকগুলোতে বার্মিজ সুপারি বোঝাই করা রয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন বৈধ নথিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় বেশিরভাগ ট্রাকচালকরা। অভিযোগে প্রকাশ, জনগণ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাক ড্রাইভাররা তাদের মারতেও উদ্যত হয়। পরপর প্রায় কুড়িটি বার্মিজ সুপারি বোঝাই ট্রাক এই রাস্তা দিয়ে আসে, সবগুলো ট্রাককে আটক করে জনগণ বারবার পুলিশ থানায় খবর দিলেও কোন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি বলে অভিযোগে প্রকাশ। পরে জনগণ আটক করা ট্রাক সহ জব্দ করা নথিপত্র পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে জমা করেন।

এদিকে একজন রাজনৈতিক নেতার হস্তক্ষেপে সকালবেলা আটককৃত ট্রাকগুলো চলে যেতে সমর্থ হয় বলে অভিযোগে প্রকাশ।এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সাংবাদিক মলিন শর্মার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের ট্রাকগুলোর প্রবেশে নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শহরের ভেতরে ট্রাকগুলোর চলাচলে গাড়ির গতিও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এসব নিয়মকে তোয়াক্কা না করে রাতের বেলা শহরে দ্রুত গতিতে এখনও ট্রাক চলাচল করছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে মায়ানমার সীমান্ত থেকে আসামে প্রবেশ করার পর চেক গেটগুলো পার হয়ে কিংবা থানার সামনে দিয়ে কিভাবে অবৈধভাবে ট্রাকগুলো সুপারি বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে জনগণ প্রশ্ন তুলেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন সহ বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের দিকেও সন্দেহের আঙুল উঠছে। বিজেপি সরকার কিংবা মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার কথা বললেও কাছাড় জেলায় কিভাবে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি চলছে তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছেন জনগণ।

Comments are closed.