24 hours passed yet no trace of the three drowned in Katakhal river
২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেল, এখনও সন্ধান মিলল না ভেসে যাওয়া সেই তিন যুবকের
হাইলাকান্দির লালামুখ ফেরিঘাটে রবিবার বিকেলে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ তিন যুবকের
আজ ও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি, যদিও উদ্ধারের জন্য হাইলাকান্দি জেলা প্রশাসন জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আজ সকাল থেকে এসডিআরএফ বাহিনী সহ শিলচরের ডিপ ডাইভার পার্টির তিন ডুবুরি কাটাখাল নদীতে তল্লাশি অভিযান চালান। দিনভর তল্লাশি অভিযান চালালেও নিখোঁজ তিন যুবকের কোন সন্ধান বের করতে পারেনি এসডিআরএফ বাহিনী সহ ডুবুরিরা ।
সকালে হাইলাকান্দির অতিরিক্ত উপায়ুক্ত এলডাড ফাইরেন, সদর এসডিও প্রদীপ টিমুং লালামুখ ফেরিঘাটে ছুটে এসে উদ্ধার অভিযান তদারকি করেন। লালামুখ ফেরিঘাট থেকে গাগলাছড়া সেতু পর্যন্ত এদিন এস ডি আর এফ বাহিনী যন্ত্র চালিত নৌকা নিয়ে চক্কর কাটে।
অন্যদিকে শিলচর থেকে আসা তিন ডুবুরি লালামুখ ফেরিঘাট, সাচিউরা, উত্তর জষ্ণাবাদ এলাকায় কাটাখাল নদীতে তল্লাশি চালায়। যদিও এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত নিখোঁজ তিন যুবকের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি।
হাইলাকান্দি অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর ইনচার্জ এলবার্ট এল খবুংগ জানান, নদীতে জলের স্রোত বেশি থাকায় ডুবুরিরা জলের নীচে বেশিক্ষন থাকতে পারছেন না, তবুও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রবিবারের নৌকা দূর্ঘটনায় তিন যুবক সহ দুটি সাইকেল নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। এস ডি আর এফ বাহিনী সাইকেল দুটিও উদ্ধার করতে পারে নি। হাইলাকান্দির জেলা উপায়ুক্ত আদিল খান উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি
গুয়াহাটিতে এনডিআরএফ বাহিনীর কমান্ডেন্ডের সাথে ও যোগাযোগ করেছেন ।।
উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলে লালামুখ ফেরিঘাটে নৌকাড়ুবিতে তিন যুবক নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ তিন যুবক হলেন লালামুখ চা বাগানের দুই ভাই সুমিত পাঁসি (২৭), ও অজয় পাঁসি (২২) এবং রমেশ পাঁসি (৩৮)। রবিবার বিকেল আড়াইটা নাগাদ লালার উত্তর জষ্ণাবাদে একটি ফুটবল খেলার ফ্যাইনাল ম্যাচ দেখতে আসছিলেন নিখোঁজ যুবকরা । কাটাখাল নদীর মাঝনদীতে নৌকা উল্টে গেলে নদীর জলের স্রোতের তোড়ে ভেসে যান তারা । ঘটনার পর খবর পেয়ে লালা থানার ওসি এম ইসলাম, সি আই তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী দ্রুত লালামুখ ফেরিঘাটে ছুটে গিয়ে তল্লাশি অভিয়ান শুরু করে। হাইলাকান্দি থেকে নিয়ে আসা হয় এস ডি আর এফ বাহিনীর যন্ত্র চালিত নৌকা । কিন্ত নিখোঁজ তিন যুবকের কোন সন্ধান বের করা সম্ভব হয় নি ।
Comments are closed.