Also read in

300-bed Covid19 hospital to be built in Barak Valley; Private nursing homes to treat general patients

বরাকে হচ্ছে ৩০০ সজ্জার কোভিড-১৯ হাসপাতাল, আগামী দুমাস সরকারি মূল্যে চিকিৎসা করবে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো

বরাক উপত্যকায় ৩০০ সজ্জা সম্পন্ন একটি সম্পূর্ণ কোভিড-১৯ হাসপাতাল বানাবে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রবিবার শিলচরে এসে এটি ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তিনি সাবধান বাণী শুনিয়ে যান, বরাক উপত্যকায় কোন সংক্রমণ শুরু হলে এর মোকাবেলা করার মত ডাক্তার নার্স বা ঔষধ আমাদের কাছে নেই। শিলচর মেডিক্যাল কলেজকে আগামীতে পুরোপুরি কোভিড-১৯ হাসপাতাল করা হচ্ছে। সাধারণ রোগীদের সুবিধার্থে এগিয়ে এসেছে উপত্যকার বেসরকারি হাসপাতালগুলো। পরিস্থিতি খারাপ হলে সরকারি দরে চিকিৎসা পরিষেবা দেবে তারা। এক্ষেত্রে একটি মউ চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে রবিবার।

রাজ্যে এখনও করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হননি এবং এটি ঠেকাতে তৎপর হয়ে কাজ করছে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার শিলচর সফর করলেন। রবিবার দুপুরে প্রথমেই জেলাশাসক কার্যালয়ে বিভিন্ন সরকারি বিভাগের অধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তার কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন, সঙ্গে ছিল কিছু ঘোষনাও। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের অন্যান্য এলাকার তুলনায় বরাক উপত্যকা চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিকাঠামগতভাবে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। ফলে যদি এখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়, একে আটকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই প্রত্যেক ব্যক্তির প্রয়োজন সচেতন থাকা এবং ২১ দিনের লকডাউনকে খুব সচেতনভাবে পালন করা।

২৪ মার্চের পর রাজ্যে বাইরে থেকে কাউকে আসতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ ১৪ দিনের মধ্যে ধরা পড়ে। ২৪ মার্চ থেকে ১৪ দিন ধরে চললে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের কাছে রাজ্যের চিত্র পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। তবে আমরা আগামী দিনে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে চাইছি। সেজন্যই সরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও কাজে লাগানো হচ্ছে। আজ এলাকার একুশটি বেসরকারি হাসপাতাল আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে আয়ুষ্মান ভারত চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি কার্ড দেখিয়ে সাধারণ মানুষ সরকারি মূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবেন। এবার মিলেমিশে এই মারণরোগকে উপত্যকায় আসা থেকে আটকাবো আমরা।

আগামী তিন মাসের মধ্যে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ বা কাছাড় জেলার অন্যান্য কোন জায়গায় একটি ৩০০ সজ্জা সম্পন্ন সম্পূর্ণ কোভিড-১৯ হাসপাতাল বানানো হবে। এর জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। হাসপাতালে থাকবে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা এবং পরিকাঠামো। এর ফলে আশেপাশের রাজ্য যেমন মিজোরাম, মনিপুর বা ত্রিপুরার মানুষও সুবিধা পাবেন।

লকডাউন’র ফলে খাদ্যের যোগান নিয়ে তিনি বলেন, ডাল, চাল, আলু ইত্যাদির পর্যাপ্ত যোগান দেওয়া হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে মাছ-মাংস ইত্যাদি থেকে দূরে থাকাই ভালো। এমনিতেই স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে গিয়ে আমরা নাজেহাল হচ্ছি। এই সময়ে বাইরে থেকে আসা মাছ খেয়ে যদি অনেক রোগী হাসপাতালে উপস্থিত হন তাহলে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, বরং প্রত্যেক ব্যক্তির। তাই সবাইকে বলব নিজের মতো করে আমাদের সহায়তা করুন।

সাংবাদিক সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন আবগারি ও বন বিভাগের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়, জেলাশাসক বর্ণালী শর্মা সহ অন্যান্যরা। তারা এদিন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন।

Comments are closed.

error: Content is protected !!