Prime Minister Narendra Modi in Ramnagar today at the largest election rally in north-east history, claimed BJP
শুক্রবার রামনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা উত্তর-পূর্ব ভারতের ইতিহাসে সর্বকালের সর্ববৃহৎ নির্বাচনী সভা হবে বলে দাবি জেলা বিজেপির। ২০১৪ সালে একই মাঠে নরেন্দ্র মোদির সভায় আড়াই লক্ষ মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। বিজেপির সদস্যদের বিশ্বাস, এবারের সভায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ জমায়েত হবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো কোন জনসভায় অংশ নিতে কাছাড়ে আসছেন নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর সভায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, নেডার আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, দলের রাজ্য প্রভারি মহেন্দ্র সিং, বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব, প্রদেশ সভাপতি রঞ্জিত দাস সহ বরাক উপত্যকা এবং রাজ্যের পুরো নেতৃত্ব অংশ নেবে। পাশাপাশি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য রাজ্যের নেতাদেরও সভায় অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন সকালে দিল্লি থেকে ইম্ফল যাবেন এবং সেখান থেকে বিশেষ বিমানে শিলচর আসবেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের একাংশ নেতারা বৃহস্পতিবার শিলচর এসে পৌঁছেছেন, তারা সভার প্রস্তুতি ভালো করে খতিয়ে দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সহযোগীরা শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় শিলচর বিমানবন্দর পৌঁছবেন। সম্ভবত তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতেই যাবেন। রামনগর বাইপাস সংলগ্ন মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভা আড়াইটায় হবে এবং এদিনই আবার তিনি দিল্লি ফিরে যাবেন। করিমগঞ্জ এবং কাছাড় এই দুই লোকসভা আসনে প্রচারের জন্যই প্রধানমন্ত্রী আসছেন।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে অসমে এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম জনসভা এতে বিশেষ কিছু ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। অসমে নাগরিকত্ব সমস্যা বা কাছাড় কাগজকল পুনরায় চালু করা ইত্যাদি বিষয়ে ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দুই আসনে প্রার্থী ঘোষণাও হতে পারে এদিন। দলের পক্ষ থেকে সভাটিকে সর্বাত্মকভাবে সুন্দর করে তুলতে কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছেনা। বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য সহ জেলার প্রত্যেক বিধায়ক এবং প্রদেশে বিজেপির বিভিন্ন নেতারা রামনগরের মাঠের লাগাতার পরিদর্শন করছেন। দলের তরুণ ব্রিগেড প্রায় ১৫ দিন ধরে মাটি সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি শহর এবং জেলার প্রত্যেক আনাচে-কানাচে বিজেপির এই সভার কথা পৌঁছে দিচ্ছেন। শিলচর শহর দলের পতাকা এবং ব্যানারে সেজে উঠেছে। প্রত্যেক রিক্সা বা অটোতে বিজেপির পতাকা এবং ব্যানার লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং সবাই স্বেচ্ছায় এটি করছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে উচ্ছ্বাস থাকাটাই স্বাভাবিক, তবে নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে জনমনে উচ্ছ্বাস আলাদাই থাকে। এর প্রভাব শিলচরে দেখা যাচ্ছে। তিন লক্ষের বেশি মানুষ নিয়ে জনসভা উত্তর-পূর্বের ইতিহাসে আগে কখনো হয়নি। তবে শুক্রবার এই সভায় তিন লক্ষের বেশি মানুষ হবে বলে দাবি জেলা বিজেপির।
কবীন্দ্র পুরকায়স্থ মনে করেন, এই সভাটি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মকর্তা সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ প্রভাব ফেলবে। নরেন্দ্র মোদিকে প্রত্যেক ব্যক্তি পছন্দ করেন, তাকে শোনার জন্য তারা মুখিয়ে থাকেন। এত বড় সভা হওয়াতে নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষে জোরালো জনমত তৈরি হবে, এমনটাই মনে করেন কবীন্দ্র।
সভাটিকে ঘিরে অত্যন্ত কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৪০ জনের এনএসজি দল সহ পুলিশ এবং সুরক্ষাবাহিনী দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে শহর ও রামনগর এলাকা। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং নিশ্চিত সুরক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই তাদের সভায় অংশ নিতে হবে।
এদিকে অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর সভাকে সামনে রেখে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ এবং ধর্না প্রদর্শন করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তবে পুলিশ সুপার রাকেশ রোশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সভা বানচাল করা নিয়ে কোনো ধরনের আপোষ করবেন না, কড়া নিরাপত্তা থাকবে এবং কেউ বাধা দিতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Comments are closed.