Fraudulent activity : Police arrests Sunil Das alias Bijoy Nath alias Bimal Das
ঋণ দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করে শেষ পর্যন্ত জনতার হাতে আটক এক প্রতারককে গ্রেফতার করল লালা পুলিশ।সোমবার বিকেলে হাইলাকান্দি তোপখানার সুনীল দাস ওরফে সুনীল নাথ ওরফে বিজয় নাথ ওরফে বিমল দাস নামের এই প্রতারককে লালা শহরে হাতেনাতে পাকড়াও করে লালা পুলিশের হাতে তুলে দেন ক্ষুব্ধ জনতা।।সোমবার সন্ধ্যায় আটক প্রতারক সুনীল দাসের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে লালা থানায় একাধিক ব্যক্তি লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন। । এজাহারের ভিত্তিতে লালা পুলিশ সুনীলকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, প্রায় মাস এক আগে ধৃত প্রতারক হাইলাকান্দি জেলার লালা ও কাটলিছড়া সহ বিভিন্ন এলাকার লোকদের কাছ থেকে এল এন বি ব্যাঙ্কের নাম করে মোটা অংকের লোন পাইয়ে দিতে গ্রুপ বানিয়ে জনপ্রতি ২১৫০ টাকা করে হাতিয়ে নেয়।এভাবে লালা ও কাটলিছড়ার বিভিন্ন অঞ্চলের বেশ কিছু পুরুষ, মহিলার কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে নেয় বলে এজাহারে অভিযোগকারীরা জানান। এমনকি ওই প্রতারক বার বার তার নাম বদল করে জনতাকে প্রতারনা করছিল। সোমবার ব্যাঙ্ক লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা ছিল। আর এরই প্রেক্ষিতে এদিন লালার হাইলাকান্দি রোডে এল এন বি নামের একটি শাখা কার্যালয়ে জড়ো হন জনতা । কিন্তু দীর্ঘক্ষন পরও সেই লোকটি না আসায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। এরপর এদিন বিকেলে তাকে স্কুটি করে লালা শহরে চলাচল করতে দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন জনতা।। তারা তাকে আটক করে লালা পুলিশে খবর দেন।পরে পুলিশ এসে তাকে লালা থানায় নিয়ে যান।
পরে প্রতারিত হওয়া লোকরা লালা থানায় জড়ো হন। এবং লিখিত এজাহার থানায় জমা দেন। এজাহারে আরও তিন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এজাহারে স্বাক্ষর করেছেন ফকর উদ্দিন বড়ভুইয়া, মনিলাল চৌহান, লক্ষীনারায়ন দুষাদ, রুপালি শুক্লবৈদ্য, সুপ্রীতি রায়,শঙ্করি দাস, সহ মোট ত্রিশজন স্বাক্ষর করেছেন।। লালা পুলিশ ধৃতকে গ্রেফতার করে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
Comments are closed.