Mass Copying in DLed examination, expelled 15 teachers, tension prevail in Hailakandi.
এসসিআরটি পরিচালিত চলতি ডিএলএড পরীক্ষায় অবাধে মোবাইলের ব্যাবহার, গন টোকাটুকি, পনেরো পরীক্ষার্থী শিক্ষককে বহিস্কার, মোবাইল ফোন জব্ধ, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়ে প্রতিবাদ, চিৎকার চেচামেচি ইত্যাদি বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাইলাকান্দির বেসিক ট্রেনিং সেন্টার পরীক্ষা কেন্দ্র। যদিও ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতির তেমন অবনতি ঘটে নি, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে , এসসিআরটি পরিচালিত চলতি ডি এল ই ডি পরীক্ষায় অবাধে মোবাইল ফোনের ব্যাবহার সহ গনটোকাটুকির অভিযোগ পেয়ে হাইলাকান্দির চক্র আধিকারিক ত্রিদিপ রায় বেসিক ট্রেনিং সেন্টার কেন্দ্রে হাজির হন। ত্রিদীপ রায় পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয়ে কর্তব্যরত ইনভিজিলেটরদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে অসদূপায় অবলম্বনের দায়ে তাৎক্ষণিক ভাবে পনেরো জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। । সব পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা বয়কট করে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেন। তাদের হাল্লা চিৎকারে, ধর্না স্লোগানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।। যদিও দীর্ঘক্ষন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
ম্যাজিস্ট্রেট ত্রিদীপ রায় জানান, বেসিক ট্রেনিং সেন্টার কেন্দ্রে ব্যাপক নকল চলার অভিযোগ পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি, উপস্থিত হয়েই দেখতে পান মোবাইল ব্যাবহার করে, বই খোলে পরীক্ষা দিচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। তিনি কয়েকজন পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোন জব্দ করতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন পরীক্ষার্থীরা। তারা নকল ধরার প্রতিবাদে এককাট্টা হয়ে পরীক্ষা বয়কটের হুমকি দিয়ে বসেন । এতে একসময় উত্তপ্ত পরিস্তিতির সৃষ্টি হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে । যদিও পনেরো জন পরীক্ষার্থীকে নকল করার দায়ে বহিস্কার করার পর পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং যথারীতি পরীক্ষা চলে।
উল্লেখ্য, এর আগে এন আই ও এস পরিচালিত ডি এল ই ডি পরীক্ষায় নকল ধরে হামলার শিকার হয়েছিলেন বিদ্যালয় পরিদর্শক রাজীব ঝা।।
Comments are closed.