
Successful eviction at Rajanikhal, Dholai, no untoward incident
পরিকল্পনা মতো প্রশাসনিক সহায়তায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে ধলাইর হাওয়াইথাং এলাকার রজনীখালে আজ উচ্ছেদ অভিযান চালায় রাজ্যের বন বিভাগ। টানা ঝড়-বৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিছুই আটকাতে পারেনি এই উচ্ছেদ অভিযান, দখলমুক্ত করা হয় প্রায় ২৬০ বিঘা জমি। অভিযানের শুরুতে ‘চোঙ্গা মাইক ফুকে’ সতর্ক করে দেওয়া হয়।
প্রশাসনের দৃঢ় অবস্থান বুঝতে পেরে গতকাল থেকেই ধীরে ধীরে বাড়িঘর ভেঙ্গে জিনিসপত্র গোছগাছ করে সড়কের উপরে জড়ো করে গাড়িতে চাপিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল।
এদিকে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের ‘সাজো সাজো’ রবের মধ্যেও রজনী খালের মাটি কামড়ে থাকার চেষ্টা করেছিলেন যেসব গ্রামবাসীরা তাদের ঘরবাড়ি, জিনিসপত্র আজ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশিক্ষিত হাতির দল। ৮২ টি পরিবারের প্রায় ৫০০ মানুষ ওই এলাকায় প্রায় চার দশক ধরে বসবাস করে আসছিলেন।
আজকের উচ্ছেদ অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক রাজীব রায়, অতিরিক্ত পুলিশ অধীক্ষক জগদীশ দাস, ডেপুটি পুলিশ সুপার এজে কলিতা। এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন বনবিভাগের এম আর চৌধুরী। অভিযান চলাকালে কোন প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়নি তাদেরকে। অশ্রুসজল চোখে কিছু সহায়-সম্বল নিয়ে ধীরে ধীরে সরে পড়েন তারা। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।
উল্লেখ্য, এই উচ্ছেদ অভিযানের শেকড় রয়েছে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের এক ঘটনায়। প্রায় চার দশক ধরে ৫০০ জনেরও বেশি লোক এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বাস করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতী পাহাড়ি এলাকায় ঘাঁটি গাড়ে । এরাই ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে রামপ্রসাদপুরের রূপম পাল নামক এক অটো চালককে অপহরণ এবং পরে খুন করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বসবাসরতদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর দাবি পেশ করে। গত ২১শে মে এক সপ্তাহের সময়সীমা ধার্য করে বন বিভাগ পরিবারগুলোর হাতে উচ্ছেদ নোটিশ ধরিয়ে দেয়।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই এলাকায়ও দীনদয়াল উপাধ্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ সরকারিভাবে প্রদান করা হয়েছিল।
Comments are closed.