Also read in

Silchar, MLA Dilip Paul inspects Rangirkhal and Singirkhal

এ বৎসর এখনো জোরালো বৃষ্টিপাত হয়নি, এর মধ্যেই সামান্য বৃষ্টিতে শহরের অনেক জায়গায় বিশেষত হাইলাকান্দি রোড, জেল রোড, চার্চ রোড, শিলংপট্টি, লিংক রোড, নিউ শিলচর এলাকায় জমা জলে নাজেহাল হয়েছেন জনগণ।

এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গতকাল বিধায়ক দিলীপ পাল জেলা উপায়ুক্ত লয়া মাদ্দুরি এবং জলসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে সকালে তিন ঘণ্টা ধরে রাঙ্গিরখাল ও সিঙ্গিরখাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে প্রতীয়মান হয় যে, দুটো খালের গভীরতা বাড়ানোর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, ফলে জমা জল সমস্যা যেমন ছিল তেমনি রয়ে গেছে । বিধায়ক এই প্রসঙ্গে বলেন, “শুধু সরকারকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। নিকাশি নালা আবর্জনা মুক্ত রাখতে সদিচ্ছার প্রয়োজন, কিন্তু সেই জায়গাতেই অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঘরোয়া বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নালায় , যার ফলে জমা জল বেরিয়ে যেতে পারছে না । জমা জল সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য মাস্টার ড্রেনেজ প্রকল্পের চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু দুঃখের বিষয় বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির অসহযোগিতার জন্য সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না।”

দিলীপ পাল জমা জল সমস্যার অন্যতম কারণ হিসেবে ইন্দ্রপ্রস্থ হোটেলের পাশে সিঙ্গির খালে নাগরিকদের ফেলা বর্জ্যের পাহাড়কে চিহ্নিত করেন। পাশাপাশি এ ব্যাপারে কঠোর আইন প্রণয়নের কথা বলেন । তিনি জানান, নালায় আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে পৌরসভাকে কঠোর হতে হবে; প্রয়োজনে জরিমানা ধার্য করতে হবে। নালা খনন এবং জবর দখল মুক্ত করতে হবে। তবে সবকিছুই হতে হবে পরিকল্পিতভাবে। সঙ্গে, মাষ্টার ড্রেনেজই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান, সেটাও বলেন তিনি।

এখানে উল্লেখ্য, দু বছর আগে তৎকালীন জেলা শাসক এস বিশ্বনাথনের উদ্যোগে এবং পৌরসভার সহযোগিতায় রাঙ্গিরখালের বেশ কিছু জমি জবর দখল মুক্ত করায় আশার সঞ্চার হয়েছিল। তবে, জেলা শাসকের বদলির পর এই ব্যাপারে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন যদি আবার সদর্থক প্রয়াস হয়, তাহলে হয়তো সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হতে পারে।

Comments are closed.