Cachar businessmen are smelling conspiracy behind the Rosekandi movement.
রোজকান্দি চা বাগানে যে আন্দোলন চলছে, তা এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র এবং এই ষড়যন্ত্রে যারা শামিল রয়েছেন তাদেরকে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত, এই আর্জি জানালেন ব্যবসায়ী সংগঠন। সেন্ট্রাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি অফ অ্যাসোসিয়েশন এবং আসাম চেম্বার অফ কমার্সের দক্ষিণ আসাম শাখার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার অসিত দত্ত, মহাবীর প্রসাদ জৈন, বিবেক পোদ্দার সহ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা গতকাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের বক্তব্যে এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন।
সম্মেলনের প্রথমেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে অসিত দত্ত জানান, আন্দোলনটা রোজকান্দি সাধারণ শ্রমিকদের আন্দোলন বলে মনে হচ্ছে না, এর পেছনে রয়েছে বাইরের স্বার্থান্বেষী শক্তির হাত। তিনি প্রশ্ন তোলেন ঈশ্বর ভাই উবাদিয়া গত ৩৫ বছর ধরে বাগানে ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন। সরকারি শ্রম আয়ুক্তের সূত্রে তারা জানতে পেরেছেন, দীর্ঘ এই সময়ে বাগানে আন্দোলন হওয়া তো দূর, ঈশ্বর ভাই উবাদিয়া সম্পর্কে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগও কোন দিন জমা পড়েনি। তাই হঠাৎ করে কেন উবাদিয়াকে কাঠগড়ায় তুলে আন্দোলন শুরু হয়ে গেল! তাকে বিতারণের নামে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলনের নামে যে দৃশ্য দেখা গেছে, তা গোটা বরাক উপত্যকার চা শিল্পের জন্য এক অশনি সংকেত। আন্দোলনে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি নামক সংগঠনটি জড়িয়ে পড়ায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে অসিত দত্ত বলেন, বাগানে তো কোন কৃষক নেই, এক্ষেত্রে কৃষক সংগঠন আছে কোন স্বার্থে। আন্দোলনের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করলে কৃষক মুক্তি বরাক উপত্যকা অচল করে দেওয়ার যে হুমকি দিয়েছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন সেরকম হলে পাল্টা জবাব দেবো আমরাও।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিবেক পোদ্দার বলেন, বর্তমানে আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন বাগানের বাইরের লোকেরা। বাগানে প্রচুর জমি রয়েছে সেসব দখল করতেই মাফিয়ারা উস্কানি দিয়ে শুরু করেছে এই আন্দোলন। বাগানে কোন সমস্যা হলে শ্রমিক কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন মিলে সমাধান করবে এটাই রীতি। কিন্তু রোজকান্দিতে দেখা যাচ্ছে বাইরের শক্তির উৎসাহ বেশি।
মহাবীর প্রসাদ বলেন, বাগানের শ্রমিকদের তেমন কোন অভিযোগ নেই। স্রেফ বাইরের শক্তির উস্কানিতেই আন্দোলনে বাগান অচল হয়ে পড়েছে, এটা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।
সকলেই শীঘ্র বাগান খোলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ষড়যন্ত্র মূলক কাজের সামিলদের সনাক্ত করে শাস্তি প্রদানের দাবি রাখেন।
Comments are closed.