
Two children missing since last 22 days, children protection and citizen welfare society submits memorandum
শিলচর আশ্রম রোডের দুটি নাবালক শিশু সৌরভ দাস এবং সুপ্রিয়া দাসকে এখন পর্যন্ত খুঁজে বের করতে না পারায় শিলচরের চিল্ড্রেন প্রটেকশন অ্যান্ড সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ব্যানারে স্থানীয় জনগণ কাছাড়ের জেলা শাসকের কার্যালয়ের সামনে আজ ধর্নায় বসেন। তাদের সঙ্গে অন্য আরও কয়েকটি সংগঠনের কর্মকর্তারাও ধর্নায় যোগ দেন বলে জানা যায়। তারা এই শিশু দুটিকে খুঁজে বের করতে প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ৯ জুন রবিবার রাত থেকে শিলচর আশ্রম রোডের এগারো ও পাঁচ বছর বয়সী এই নাবালক শিশু দু’টি নিখোঁজ রয়েছে।আজ শিলচরের সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্নায় সামিল হয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন।
ধর্না শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাছাড়ের জেলাশাসককে একটি স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয় যে বারবার এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনো লাভ হয়নি। এই অবস্থায় শিলচর শহরে বসবাস করা কতটা নিরাপদ জনক তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। স্মারকপত্রে শিশু দুটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে উদ্ধার করার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে বরাক বনধ ডাকা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে প্রতিনিধি দলটিকে জানান। শিশু দুটিকে যে কোনও উপায়ে উদ্ধার করার জন্য তিনি তৎক্ষণাৎ পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে প্রতিনিধিদলটি এএসপি জগদীশ দাসের সঙ্গে দেখা করলে তিনিও জানান যে পুলিশ শীঘ্রই শিশু দুটিকে খুঁজে বের করবে। তিনি পুলিশ প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
স্মারকপত্রের প্রতিলিপি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, আসামের শিশু কল্যাণ মন্ত্রক, মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, সাংসদ রাজদীপ রায়, বিধায়ক দিলীপ পালের কাছেও প্রেরণ করা হয়েছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ৯ জুন রবিবার রাত থেকে আশ্রম রোড তপোবন নগরের শিববাড়ি লেনের বাসিন্দা সুরধন দাস এবং সোমবালা দাসের এই দুই পুত্র কন্যা গত বাইশ দিন থেকে নিখোঁজ থাকলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদেরকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। সৌরভ অধরচাঁদ হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র এবং সুপ্রিয়া দূর্গাসংকর পাঠশালার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। পারিবারিক ঝগড়ার কারণে শিশুটির মা তাদেরকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তিন দিন পর গভীর রাতে পুলিশ তাদের মাকে আশ্রম রোড গোবিন্দ বাড়ির সামনে থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং পরে জেল হাজতে প্রেরণ করে। রহস্যজনকভাবে মার কাছ থেকেও শিশুর দুটির ব্যাপারে কোন কথা জানা যায়নি। পুত্র-কন্যাকে বিক্রি করার অভিযোগে সোমবালা দাসকে পুলিশ রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments are closed.