Malugram Police arrests fraudster scamming people by promising bank jobs
ব্যাংকে নিযুক্তির নামে আরেক প্রতারণার ঘটনা ঘটলো গতকাল। ব্যাংকিং সেক্টরে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিহারের এক প্রতারককে গ্রেফতার করলো মালুগ্রাম পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি হলো কানাইয়া যাদব: এদিকে তার সঙ্গী মালুগ্রাম নাথপাড়ার বাসিন্দা নিতাই দেবনাথ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নিতাই দেবনাথ শিলচর প্রধান ডাকঘরের কাছে বিভিন্ন পরীক্ষার ফর্ম ইত্যাদি বিক্রি করে থাকে ।
চাকুরী দেওয়ার নাম করে শিলচর অভয়চরণ পাঠশালায় প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য। ইন্টারভিউ দিতে এসে ভুল ভাঙলো প্রার্থীদের। প্রার্থীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত জুলাই মাসে নিতাই দেবনাথ তার কাউন্টারে ব্যাংকে নিযুক্তির এক বিজ্ঞাপনে টাঙ্গায়। ওই বিজ্ঞাপন দেখে নিতাইয়ের কাউন্টার থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে ‘সিলভার লিফ কর্পোরেশন, ভোগলজাইপুর মসজিদ রোড, নয়াদিল্লি’ এই ঠিকানায় আবেদনপত্র পাঠান প্রার্থীরা। দিন কয়েক আগে আসে এডমিট কার্ড ১ সেপ্টেম্বর, রবিবার শিলচর অভয়চরণ পাঠশালায় ইন্টারভিউ দিতে ডাকা হয়। সকালে ইন্টারভিউ দিতে এসে দেখা যায় কানাইয়া যাদবের সঙ্গে ইন্টারভিউ নিতে এসেছে নিতাই দেবনাথও, তখনই তাদের সন্দেহ হয়। ফি হিসেবে প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে সংগ্রহ করে প্রতারকরা।
ইন্টারভিউ শুরু হলে প্রশ্নপত্রের ধরন দেখে প্রার্থীরা নিশ্চিত হয়ে যান যে, এটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। তখন কানাইয়া এবং নিতাইকে চেপে ধরলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি, শুরু হয়ে যায় হইচই । খবর যায় পুলিশে, ততক্ষণে নিতাই যায় পালিয়ে।
পুলিশ এসে কানাইয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। প্রায় ৮০০ জন যুবক যুবতী ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন; ৩০০ টাকা করে প্রত্যেকের কাছ থেকে সংগ্রহ করলে প্রতারক সংগ্রহ করেছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, চাকুরীতে নিযুক্তির আগে আরও বড় ধরণের টাকা জমা দেওয়ার কথা তাদেরকে বলেছিল কানাইয়া।
ধৃত কানাইয়া বিহারের সিওয়ান জেলার বাসিন্দা যদিও সে থাকে বর্তমানে দিল্লিতে। ব্যাংকে নিয়োগের পদ্ধতি সম্বন্ধে অজ্ঞতার জন্যই প্রার্থীরা এই ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Comments are closed.