Also read in

Silchar MLA Dilip Paul rewards Satyabrata for his selfless social service

সত্যব্রত ভট্টাচার্যের নাম কমবেশি শিলচরের সবাই জানেন। তার নিঃস্বার্থ সমাজ সেবার হাত ধরে। ব্যস্ততম পৃথিবীতে সবাই যখন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, তখন সত্যব্রত সমাজের কল্যাণে, সাধারণ মানুষের সাহায্যে নিজের মূল্যবান সময় তথা শ্রম উজার করে দিচ্ছেন।সমাজের প্রতি এই দায়বদ্ধতা পালনের স্বীকৃতি হিসেবে অনেকেই তার কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, সংবর্ধিতও হয়েছেন তিনি অনেকবার। এবার শিলচরের বিধায়ক দিলীপ পাল সত্যব্রতকে বিশেষভাবে সংবর্ধিত করলেন। বিজেপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিধায়ক ব্যক্তিগতভাবে সত্যব্রতের ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি তার এই নিঃস্বার্থ সেবার জন্য প্রত্যেক মাসে তাকে তিন হাজার টাকা প্রদান করার কথা ঘোষণা করেন। ঘোষণার পাশাপাশি তিনি এ বছরের তিন মাসের বেতন সত্যব্রতের হাতে তুলে দেন। এবার থেকে প্রত্যেক মাসে বিধায়ক তার বেতনের টাকা থেকে মাসিক তিন হাজার টাকা এই সমাজসেবীকে প্রদান করবেন। তার এই মহান কাজে উৎফুল্ল দিলীপ পাল সত্যব্রতকে প্রকৃত অর্থে সমাজসেবক বলে উল্লেখ করেন।

ট্রাফিক সমস্যা যে শিলচরের প্রধান সমস্যা এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।আর এই যানজটের ফলে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অফিসকর্মী, সাধারণ মানুষ তথা হাসপাতালগামী রোগীদের কতটা হেনস্থা হতে হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সবাই যখন যানজটে হেনস্থা হয়ে শিলচরের ট্রাফিক পুলিশকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত, তখন সত্যব্রত বুঝিয়ে দেন, চাইলে যে কেউই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে পারেন। আর এক্ষেত্রে তিনি সফলও বটে। প্রত্যেক দিন সকাল ন’টা থেকে দশটা এবং বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকেন কনকপুরের বাসিন্দা সত্যব্রত। শিলচর শহরের ব্যস্ততম রাঙ্গিরখাড়ি কিংবা চণ্ডীচরণ রোডে সাদা পোশাকে প্রতিদিন বিনা পারিশ্রমিকে তিনি যানজট নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেন পুলিশকে। তিন বছর ধরে একটানা এভাবে সমাজের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতা পালন করছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। পেশায় কম্পিউটার মেকানিক্স সত্যব্রত নিজের অফিস করার পাশাপাশি বছরের পর বছর ধরে জনসেবা করছেন নীরবে। তাই বলা বাহুল্য, তার এই সংবর্ধনা এবং সম্মান অবশ্যই প্রাপ্য।

Comments are closed.