Also read in

Banks, ATMs to function as usual; officers association urges for police support

এই কঠিন সময়ে, সংকট পূর্ণ পরিস্থিতিতেও ব্যাঙ্ক কর্মীরা তাদের পরিষেবা জারি রাখবেন। সারাদেশে ব্যাঙ্কের সব শাখা এবং এটিএম খোলা থাকবে। ব্যাঙ্ক কর্মীরা সক্রিয়ভাবে জনগণকে পরিষেবা প্রদান করবেন।

এটিএমে পর্যাপ্ত নগদের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।ব্যাঙ্কের কাজ এবং কাস্টমারের সঙ্গে লেনদেনের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক, স্যানিটাইজার ইত্যাদি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নর্থ ইস্টার্ন সার্কেলের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়, ব্যাঙ্কে কর্মরত আধিকারিক ও অন্যান্য কর্মচারিদের যাতে কর্মস্থলে পৌঁছানোর সময় পুলিশি হয়রানির শিকার না হতে হয়। ব্যাঙ্ক আধিকারিক তথা কর্মচারিরা নিজেদের কর্মস্থলে যাওয়ার সময় কোনও কোনও স্থানে পুলিশের হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্টেট ব্যাংকের শিলচর হাসপাতাল রোড শাখার এক মহিলা কর্মীকেও পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল বলে জানা গেছে।

এই সংকটের মুহূর্তে দেশের জনগণকে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য ব্যাংক কর্মচারিরা অবশ্যই সচেষ্ট থাকবেন। কিন্তু যাতে করে তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে সে ব্যাপারে পুলিশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য অ্যাসোসিয়েশনের নর্থ ইস্টার্ন সার্কেলের সাধারণ সম্পাদক রূপম রায় বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।

অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজে ব্যাঙ্ক কর্মীদের আরো কিছু কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি পাওয়া না যাওয়ায় কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিটা বেড়ে যাচ্ছে। কারণ ব্যাঙ্ক কর্মীদের অনবরত গ্রাহকদের মুখোমুখি হতে হয় এবং তাদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে প্রতিনিয়ত নোট গুনতে হয়, যা কিনা জীবাণু বহনের অন্যতম এক মাধ্যম।

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জানা গেছে, স্টেট ব্যাঙ্কের ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা জরুরি ঘোষণা করার পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে সারা দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক কর্মীদের এই সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রশংসনীয়।

Comments are closed.