Also read in

Wine shops will open again tomorrow; Administration will monitor if COVID19 guidelines are followed

রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে আবার খুলছে মদের দোকান

রাজ্য সরকারের এক নির্দেশের উপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার থেকে জেলার লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানগুলো খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসক বর্ণালী শর্মা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী দোকানগুলো খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাদের পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে পঞ্চাশ শতাংশের বেশি কর্মচারিকে এই মুহূর্তে কাজে লাগানো যাবেনা এবং সোশ্যাল ডিসটেন্স কোনোভাবেই উলঙ্ঘন করা যাবে না। সরকারি আধিকারিকরা এ ব্যাপারে কড়া নজর রাখবেন এবং কেউ নিয়ম ভাঙলে দোকান তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

রবিবার সরকারি নির্দেশটি সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং এটি দেখে শহরের এক দোকান সোমবার মদ বিক্রি করতে শুরু করে। দোকান খোলার আগে থেকেই উপচে পড়ে বিরাট সংখ্যক মানুষের ভিড়। এক সময় বাধ্য হয়ে প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করে দোকান বন্ধ করে দিতে হয়।

আবগারি বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলার প্রত্যেক লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যে তাদের কর্মচারির তালিকা বিভাগের কাছে তুলে ধরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন পঞ্চাশ শতাংশ কর্মচারি নিয়েই কাজ চালাতে হবে, এটা রাজ্য সরকারের নির্দেশ। তাদেরকে ছবি বানিয়ে কিভাবে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে বিক্রি করতে হবে এটা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত দোকানগুলো খুলবে, তবে এর ফলে জনসমাগম যাতে না হয় এদিকে কড়া নজরদারি থাকবে। যারা মদ কিনবেন তারা কিভাবে আসবেন এটা নিয়ে এখনো কোনো নির্দেশ নেই। কেউ এ ব্যাপারে বিশেষ পাস চাইলে দেওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য, আবগারি বিভাগের তরফ থেকে রবিবার সন্ধ্যেবেলা এক নির্দেশে জানানো হয়, সোমবার থেকে আপাতত সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মদের দোকানগুলো খোলা রাখা যাবে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যারা দোকানে কাজ করবে তাদের বাড়ি থেকে নেওয়া-আনার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেকের পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং স্যানিটেশনের জন্য সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। কেউ নিয়মগুলো লংঘন করলে লাইসেন্স জব্দ করা হবে এবং মদ বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।

রাজ্যের আবগারি বিভাগের এডিশনাল কমিশনার এসকে মেদি রবিবার এক নির্দেশে জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রত্যেকটি ভারতীয় মদ বিক্রেতা দোকান খোলা রাখতে পারবেন।

মদের দোকান এবং বটলিং প্লান্টে যেসব কর্মীরা কাজ করবেন তাদের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। তারা যদি কাশি বা অস্বাভাবিক জ্বরে ভোগেন তবে কাজ করতে দেওয়া হবে না। প্রত্যেক দোকান এবং বটলিং প্লান্ট সীমিত সংখ্যায় কর্মচারি নিয়োগ করতে পারবেন। তারা জেলা প্রশাসন এবং আফগানি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজটি করবেন। কর্মচারিদের খাবার-দাবার ইত্যাদিও যোগান দিতে হবে, কেননা এখন লকডাউন চলছে এবং বাইরে খাবারের কোন ব্যবস্থা নেই। মদের বোতল প্রয়োজনে স্থানে স্থানে পৌঁছানোর জন্য পাস জোগাড় করতে হবে। এক্সাইজ ইন্সপেক্টর এগুলো দিতে পারবেন। গ্রাহকদের প্রত্যেককে এক মিটারের দূরত্বে রাখতে হবে। কোন ধরনের জনসমাগম যাতে গড়ে না ওঠে এদিকে দোকান মালিকদের নজর রাখতে হবে।

Comments are closed.