Lockdown 2.0 : Police arrests 23 persons for violating rule
বরাক উপত্যকার তিন জেলাকে ‘হোয়াইট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করার পরই দ্বিতীয় পর্যায়ে লক ডাউনে ব্যাপক অনিয়ম শুরু হয়। কারণে অকারণে এক বিশাল সংখ্যক জনতা বাইক-গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। এমনকি মেহেরপুর এলাকায় লক ডাউনের মধ্যেও কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়।
এই অনিয়ম মোকাবেলায় রাস্তায় নামতে হয় ডিসি বর্ণালী শর্মা, এসপি মানবেন্দ্র দেব রায়সহ এক বিশাল পুলিশবাহিনীকে। গতকাল দিনে রাতে মিলিয়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় শিলচর শহর থেকে এবং পার্শ্ববর্তী মাসিমপুর থেকে একজনকে। এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী মামলা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, তেইশটি যানবাহন মালিক- চালকের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা। এই যানবহন গুলোর মধ্যে দ্বি-চক্রযানের সংখ্যাই বেশি ছিল; দুটো প্রাইভেট কার এবং একটা ই-রিকশা ও ছিল।
প্রশাসনের তরফ থেকে এডিসি সত্যবান জানিয়েছেন যে, এমন প্রবণতা চললে ২০ এপ্রিলের পর প্রস্তাবিত শিথিলতা বাতিল করে আরও জোরদার লকডাউন করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
এই প্রসঙ্গে কাছাড়ের জেলা উপযুক্ত বর্ণালী শর্মা বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমি রিপোর্ট পেয়েছি, শিলচর শহরে অনেক গাড়ি বিনা কাজে ঘুরছে, তাই আজ শহর এলাকা দেখতে বেরিয়েছি। আশ্চর্যজনকভাবে আমি দেখতে পেলাম অনেকে এমন পাস নিয়ে ঘুরছে যার ভেলিডিটি চলে গেছে। অনেকে আবার বিনা কাজে শ্বশুরবাড়ির দিকে রওনা হয়েছে। এগুলো চলতে দেওয়া যায় না, প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার একটাই আবেদন, কাছাড় জেলা বর্তমানে কিছুটা সুস্থির অবস্থায় আছে, আগামী ৩রা মে পর্যন্ত যদি আমরা নিয়মকানুন মেনে চলি তাহলে সমগ্র জেলা ভালো থাকবে।”
অতিরিক্ত জেলা উপায়ুক্ত সত্যবান আরো জানিয়েছেন যে দু-তিন দিনের মধ্যে এক নতুন অ্যাপ নিয়ে আসছে কাছাড় জেলা প্রশাসন যার মাধ্যমে লকডাউন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুবিধা হবে এবং জনগণ ও লকডাউন ভঙ্গ কারীদের তথ্য সরবরাহ করতে পারবেন।
Comments are closed.