Also read in

Lockdown: Last ritual of Bani Dey done by WhatsApp video call

করোনা ভাইরাসের দৌরাত্ম্যের কাছে হেরে কিংবা লকডাউনের ফলে অনেকে অনেক কিছু করতে পারছেন না। আবার অনেকে অনেক কিছু অভিনব উপায়ে করতে বাধ্য হচ্ছেন। লকডাউন’র শিকার হয়ে অদ্ভুত উপায়ে মায়ের শ্রাদ্ধশান্তি সম্পন্ন করতে হলো নীলাঞ্জনা ও রূপাঞ্জনাকে। যদিও বাধ্য হয়ে, তবু এ ধরনের শ্রাদ্ধক্রিয়া হয়তো তার আগে কখনো হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিওর মাধ্যমে তাদের মা বাণী দে’র শ্রাদ্ধশান্তি গতকাল সম্পন্ন করলেন নীলাঞ্জনা পাল ও রূপাঞ্জনা দে।

পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার পাজকোনা গ্রামে বাণী দে’র ছোট মেয়ে রূপাঞ্জনার শ্বশুর বাড়িতে বসে পুরোহিত শম্ভু চক্রবর্তী মন্ত্র উচ্চারণ করেন। তাঁর বড় মেয়ে নীলাঞ্জনা হায়দ্রাবাদে নিজের বাড়িতে বসে সেই মন্ত্র পুনরায় উচ্চারণ করে মায়ের শ্রাদ্ধের কাজ সম্পন্ন করলেন। একইভাবে ছোট মেয়ে রূপাঞ্জনা কলকাতায় তার নিজের বাড়িতে বসে যাবতীয় মন্ত্র উচ্চারণ করে বিধি নিয়ম পালন করলেন। পুরো শ্রাদ্ধের কাজ সম্পন্ন হয় হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলের মাধ্যমে। ভিডিও কলের মাধ্যমেই পুরোহিত যাবতীয় বিধি নিষেধ পালন করান মৃতার দুই কন্যাকে দিয়ে। সেখান থেকে যেভাবে তিনি নির্দেশ দেন, সেভাবেই শ্রাদ্ধশান্তির কাজ সম্পন্ন করেন দুই শহরে বসে বাণী দে’র দুই মেয়ে।

কার্যত তিন জায়গায় বসে তিনজনের সহযোগে তারাপুর গার্লস হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকার শ্রাদ্ধের কাজ সম্পন্ন হল আজ। এভাবে অদ্ভুত উপায়ে শ্রাদ্ধশান্তি সম্পন্ন করার ব্যাপারে বাণী দে’র বড় মেয়ে নীলাঞ্জনা নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জানায়,” মার শেষ সময় থাকতে পারিনি, শেষকৃত্যে যেতে পারিনি লকডাউনের জন্য। কিন্তু আমি আজ সান্তনা পাচ্ছি যে যে মায়ের কাজটা খুব সুন্দর করে করতে পেরেছি টেকনোলজির সুবিধের জন্য। তাই আজ আমি খুব হালকা বোধ করছি। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের মাধ্যমে পুজো হয় গতকাল সকালে। আমরা দুবোন দুই শহরে বসে সে পুজো সম্পন্ন করি”।

Comments are closed.