Also read in

Private Institutions to collect only fifty percent of tution fees in April, says Education Minister Himanta Biswa Sharma

করোনা ভাইরাসের আক্রমণকে সামাল দিতে প্রায় এক মাস ধরে সারাদেশে লকডাউন চলছে। এই সময়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থে বিভিন্ন নির্দেশিকা জারি করছে সরকার। আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রত্যেক বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোকে বলেছেন তারা যেন মার্চ মাসের ফি যা এপ্রিল মাসে নেওয়া হবে তা কেবলমাত্র পঞ্চাশ শতাংশ গ্রহণ করেন। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রত্যেক বেসরকারি বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই আদেশটি কার্যকরী হবে। প্রতিমাসে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে যেসব ফি নেওয়া হয় সেটা একত্রিত করে যে টাকা হবে তার পঞ্চাশ শতাংশ নিতে বলা হয়েছে। সাধারণত মার্চ মাসের ফি এপ্রিল মাসে নেওয়া হয়, ফলে মার্চ মাসকে ধরেই এখন থেকে এই নিয়ম কার্যকরী হচ্ছে। কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৫ এর অধীনে বিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রী সারা রাজ্যের প্রত্যেক বেসরকারি বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে বার্তাটি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যে যারা মার্চ-এপ্রিলের ফি শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছেন, তারা পঞ্চাশ শতাংশ হার মেনে মে মাস বা আগামীর মাসগুলোয় অ্যাডজাস্ট করে নেবেন। ‌তবে এটা করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা অন্যান্য কর্মচারীর বেতন কমানো চলবে না। ইতিমধ্যে গুয়াহাটির বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যালয় এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে।

যদি ৩০ মে পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখতে হয় তবে গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করে এই সময়টি ব্যবহার করা হবে যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ক্ষতি না হয়। আগামীতে পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে শিক্ষা বিভাগ।

উল্লেখ্য, শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব সম্প্রতি আসামের মুখ্যমন্ত্রী সহ কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন বিভাগে চিঠি পাঠিয়ে আবেদন করেছিলেন, বিদ্যালয়গুলো যাতে এই লকডাউনের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের কাছ থেকে কোন ফি গ্রহণ না করে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও তাদের জেলা প্রশাসন, রাজ্য সরকারের কাছে এব্যাপারে আবেদন জানিয়েছিল। এসব আবেদনের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার আপাতত বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোকে পঞ্চাশ শতাংশ ফি প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে।

Comments are closed.