Also read in

Covid: 8 more affected in Barak Valley, 18 recovered

মঙ্গলবার রাত ১১-৫৫ মিনিটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার টুইটে জানা গেছে যে, সমগ্র আসামে করোণা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৬১ তে পৌঁছেছে। বরাক উপত্যকায় আক্রান্তের সংখ্যা আরো ৮ জন বাড়লো; তবে স্বস্তির কথা সেরে উঠেছেন ১৮ জন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বরাক উপত্যকায় আক্রান্ত ৮ জনের মধ্যে কাছাড় জেলার ১ , করিমগঞ্জের ৭ জন ।

কাছাড় জেলার আক্রান্ত ব্যক্তি হলেন, জিরিঘাট এলাকার ২৬ বছর বয়স্ক আবজল হোসেন লস্কর।

করিমগঞ্জ জেলার যে ছয় জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে এরা হলেন, বাগেরসাঙ্গন এলাকার ২২ বছর বয়স্ক মশরূর রহমান, লামাজুয়ার এলাকার ২৭ বছরের লোকমান উদ্দিন, বাহুবল এলাকার ৩০ বছর বয়স্ক আবুল হোসেন, সুপ্রাকান্দি এলাকার ২৭ বছরের মিটন রায়, ফতেপুর এলাকার ২১ বছর বয়স্ক জুবেল আহমেদ, পুরানো চাঁন্দপুর এলাকার ২৪ বছরের তাহির আহমেদ ও সাদারশি এলাকার খালেদ মোহাম্মদ তালুকদার । এদের সবারই ভ্রমণ বৃত্তান্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে, এর মধ্যে খুশির খবর হলো মঙ্গলবার ১৮জন রোগীকে সুস্থ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে, এগারজন কাছাড় জেলার, ছয়জন করিমগঞ্জ জেলার এবং একজন ত্রিপুরার বাসিন্দা। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন একরাম আলি (৭০), জাবির হোসেন (১৮), ফারুক আহমেদ লস্কর (২০), হেফজুর রহমান (২৯), আলী হায়দার (২২), আব্দুল রহমান (৬২), বাবলি আচার্য (৪০), মসরূর আহমেদ (১৮), তাহের আহমেদ লস্কর (২৪), মিটন দেবনাথ (৩০), দেবু দাস (২৩), সাজন সিং ছেত্রী (২৬), শাহজাহান কাদিন (১৯), পরম সিংহ (২৩), নাজির উদ্দিন (২৭), আলমগীর সুলতান (১৮), ধীরজ কুমার জৈন (৩৬) এবং সাহিল আহমেদ বড়ভুইয়া (২০)।

এদিকে হাসপাতালে সোয়াব স্যাম্পল এর সংখ্যা দশ হাজারের মাত্রা ছাড়িয়েছে। এর ফলে এটা বলা সম্ভব যে, বরাক উপত্যকায় প্রত্যেক এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ৪০০ জনের স্যাম্পল পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

হাসপাতালের অধ্যক্ষ বাবুল বেজবরুয়া জানিয়েছেন, মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে স্যাম্পল পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। পুনের এনআইভির অনুমতি পাওয়ার পর এখানেই স্যাম্পলের পরীক্ষা হয়েছে এবং যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তীতে উত্তর-পূর্বের বাইরে থেকে যাত্রীরা ফিরতে শুরু করেছেন, এতে স্যাম্পল সংগ্রহের মাত্রা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমে একটি মেশিনের মাধ্যমে কাজ হচ্ছিল, পরবর্তীতে অসম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেকটি মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। কোন কোন দিন প্রায় হাজারের কাছাকাছি স্যাম্পল সংগ্রহ হয়েছে। একদিনে ৪০৮টি স্যাম্পল পরীক্ষার রেকর্ড রয়েছে। প্রায় দুই মাসে দশ হাজার স্যাম্পল পরীক্ষা করে নজির গড়েছে হাসপাতালটি।

উল্লেখ্য, বরাক উপত্যকায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৭৯, এদের মধ্যে ৬৩ জন ছাড়া পেয়েছেন, একজন মারা গেছেন এবং ১১৫ জন এখনো কোভিড পজিটিভ রয়েছেন।

গতকাল রাত ১১-৫৫ মিনিটে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার টুইটে জানা গেছে যে, সমগ্র রাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত- ১৫৬১, এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩৭, সক্রিয়ভাবে আছেন ১২১৭, মারা গেছেন ৪, অন্যত্র চলে গেছেন তিনজন।

Comments are closed.