
BJP officials allegedly attacked in Borkhola
বড়খলায় প্রাণঘাতী হামলার শিকার বিজেপির বুথ সভাপতি, নির্বিকার জেলা কমিটি
বড়খলা বিধানসভা সমষ্টির অন্তর্গত ছোট দুধপাতিল গ্রামে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছেন বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতি অজিত দাস। শনিবার বিকেলে স্থানীয় জগৎ দাস এবং তার ছেলেরা মিলে অজিত দাসের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় এবং তাকে গুরুতর ভাবে আহত করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে মালুগ্রাম থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এর আগেও তিনি একই পরিবারের সদস্যের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন, তবে পুলিশের তরফে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে তারা বারবার একই ব্যক্তিকে হেনস্থা করার সুযোগ খুঁজে পাচ্ছে।
বড়খলায় বিজেপি দলের বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর হেনস্তার ঘটনা বারবার ঘটেছে। এমনকি একজন বিজেপি দলের পঞ্চায়েত সভাপতির হত্যাও হয়েছে। তবু দলের সদস্যদের হেনস্তার বিরুদ্ধে বিশেষ কোনো আওয়াজ তোলেনি বিজেপির জেলা কমিটি।
বিজেপির ছোট দুধপাতিল ১৬১ নম্বর বুথ কমিটির সভাপতি অজিত দাসের উপর শনিবার দলবল নিয়ে হামলা করে তারই আত্মীয় জগৎ দাস এবং তার ছেলেরা। কেউ কেউ মনে করছেন এটি জমি সংক্রান্ত বিবাদের ফলে হয়েছে। তবে জগৎ দাস স্থানীয় কংগ্রেস নেতা বলে পরিচিত, ফলে এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনায় গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন অজিত দাস। তিনি ছোট দুধপাতিলের রংটিলা এলাকায় স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের কন্যাকে নিয়ে বসবাস করেন। তিনি জানিয়েছেন প্রায়ই জগত দাস এবং তার ছেলেরা তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে থাকে। স্থানীয় থানায় এ ব্যাপারে বারবার অনুরোধ করলেও কোনো কাজ হয়নি। শনিবার প্রাণঘাতী হামলার শিকার হওয়ার পর তিনি মালুগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এছাড়া দলের জেলা কমিটির কাছেও বিচার চেয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় বিধায়কের সমর্থনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন অজিত দাশ এবং তার পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন। এর সুফল হাতেনাতে পাওয়া গেছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ও তাদের দলের সদস্য জয়ী হয়েছেন।
তবে এই দুর্দিনে বিধায়ক বা পঞ্চায়েত সভাপতি কেউই তার পাশে নেই। স্ত্রী এবং ছোট কন্যাকে নিয়ে প্রাণের ভয়ে রাত জেগে কাটাতে হচ্ছে বিজেপির অক্লান্ত পরিশ্রমকারী কর্মীকে।
মালুগ্রাম থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের প্রয়োজনে আটক করা হবে।
Comments are closed.