Also read in

Bengalis victim of racism in Meghalaya; Forum demonstrates demanding security

মেঘালয়ের বাঙালিদের পাশে রয়েছি, তাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বরাক ফোরামের বিক্ষোভ কর্মসূচি

মেঘালয়ের ইছামতি এবং ভোলাগঞ্জের প্রায় সাত থেকে আট হাজার বাঙালির পাশে দাঁড়ালো বরাক ফোরাম।এই বাঙালিদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে বরাক ফোরামের পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শিলচরের ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে আজ এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অভিযোগ অনুযায়ী, মেঘালয়ের ইচ্ছামতী এবং ভোলাগঞ্জে প্রায় সাত থেকে আট হাজার বাঙালি বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন। গত ছ’মাস ধরে তাদেরকে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এই বাঙালিরা অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এই বাঙালিদের রোজগারের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।তাদেরকে ব্যবসা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তারা অর্থের অভাবে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তাদেরকে দোকানপাট খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি তাদেরকে রাস্তায় গাড়ি কিংবা টিপার চালাতেও দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় এনজিও তাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এই অবস্থায় তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

তাদের উপর এ ধরনের নির্যাতনের প্রতিবাদে বরাক ফোরাম আজ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। বরাক ফোরামের আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত ও দেবরাজ দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে জানান, ফোরামের আহবানে সাড়া দিয়ে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রতি সহমত পোষণ করে আমরা বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র সেবা সংস্থা, সারা আসাম বাঙালি যুব ছাত্র সংস্থা, বরাক ভ্যালি ইয়ুথ ইউনিয়ন এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে।

আমরা বাঙালির পক্ষ থেকে সাধন পুরকায়স্থ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে রূপক চক্রবর্তী, জয়দীপ ভট্টাচার্য, চিন্ময় ভট্টাচার্য, সারা আসাম বাঙালি যুব ছাত্র সংস্থার পক্ষ থেকে রথীন্দ্র দাস, সমর ভট্টাচার্য, বরাক ভ্যালি ইয়ুথ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অনিক চক্রবর্তী এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

তাছাড়া অনেক সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং সচেতন নাগরিকরাও সেই বাঙালিদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হন। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তমোজিৎ সাহা, কৃষানু ভট্টাচার্য, সমরবিজয় চক্রবর্তী, কমল চক্রবর্তী, দিলীপ সিংহ প্রমূখ।

Comments are closed.