
Lesser number of infections on Tuesday, but number of deaths increases substantially
মঙ্গলবার বরাক উপত্যকায় কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা হল ৫৪৭, যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম । তবে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় ৬ জন ব্যক্তি প্রাণ হারান; এর মধ্যে চারজন কাছাড় জেলার এবং দুইজন হাইলাকান্দি জেলার। তাছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে আরও দুই জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে অর্থাৎ সর্ব মোট ৮ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ।
কাছাড় জেলার পালইরবস্তি এলাকার ৫১ বছর বয়স্ক সন্ধ্যা গৌড় ৭ মে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ১৭মে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে মারা যান।
কাছাড় জেলার ছোট দুধপাতিল এলাকার ৬৫ বছর বয়স্ক রণবিজয় বিন গত ১৭ই মে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তিনি ১৮ মে দুপুর ১টা ৪৪ মিনিটে মৃত্যুমুখে পতিত হন।
শিলচর রাঙ্গিরখাড়ি এলাকার ৬২ বছর বয়স্ক পরিমল চৌধুরী শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিগত ১৫ই মে; তিনি ১৮ মে সকাল ছয়টা চল্লিশ মিনিটে প্রাণ হারান।
৭৪ বর্ষীয় হাইলাকান্দি জেলার ইসলাম উদ্দিন লস্কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৪ তারিখ ভর্তি হয়েছিলেন । তিনি মঙ্গলবার সকাল ১১ টা ৫ মিনিটে মৃত্যুমুখে পতিত হন।
শিলচর, তারাপুর এলাকার বাসিন্দা ৭৪ বছর বয়স্ক ক্ষৌনিশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ১৩ তারিখে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন; তিনি মঙ্গলবার সকাল ৯ টা কুড়ি মিনিটে প্রাণ ত্যাগ করেন।
হাইলাকান্দি জেলার উত্তর জাষ্ণাবাদ এলাকার ৬২ বর্ষীয়া নূর খাতুন চৌধুরী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৬ই মে । তিনি মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রাণ হারান।
এছাড়া ভ্যালি হাসপাতালে কাছাড় জেলার দুই জন ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এরা হলেন শিলচর ওল্ড লক্ষ্মীপুর রোডের বাসিন্দা ৭৮ বছর বয়স্ক তারামনি চৌধুরী এবং উধারবন্দ পানিগ্রাম তৃতীয় খন্ডের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়স্ক বিনয় দেব রায়।
সোমবার কাছাড় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৫৩ জন। মঙ্গলবার সেটা কিছুটা কমে সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪২। এর মধ্যে রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ২১৮ জন এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষায় ১২৪ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এদিকে করিমগঞ্জ জেলায় মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ জন এবং হাইলাকান্দিতে ১১৮ জন।
Comments are closed.