Also read in

Silchar DSA to propose many developmental projects, will submit estimate

প্রেস বক্স সহ অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নতির পরিকল্পনা শিলচর ডি এস এর, তৈরি হচ্ছে এস্টিমেট

অনেক বছর থেকেই শিলচর সতীন্দ্র মোহনদেব স্টেডিয়ামের কাজ অর্ধ সমাপ্ত। স্টেডিয়ামের এক দিকের গ্যালারি সহ বেশ কিছু কাজ অসম্পূর্ণ। মাঠের এক দিকের গ্যালারি সম্পূর্ণ হলেও কাছাড় ক্লাব প্রান্তের গ্যালারি অনেক বছর থেকেই অসম্পূর্ণভাবে রয়েছে। পরিকাঠামোর দিক থেকে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। ‌ অথচ এই অসম্পূর্ণ পরিকাঠামো নিয়েই শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাধিক বড় ম্যাচ সফল ভাবে আয়োজন করেছে। পরিকাঠামোর দিক থেকে দু একটি জিনিস সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এস এম দেব স্টেডিয়াম আরো উন্নত হয়ে যাবে। অতীতে জাতীয় স্তরের তারকারা এখানকার পরিকাঠামোর প্রশংসা করে গেছেন।

সচিব হিসেবে বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং দায়িত্ব নেওয়ার পর শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিকাঠামোর দিক থেকে আরও এগিয়েছে। বর্তমান কর্মসমিতির কার্যকালে সংস্থার প্রশাসনিক ভবন নতুন করে সেজে উঠেছে। এমন আধুনিক ঝাঁ-চকচকে প্রশাসনিক ভবন রাজ্যের অন্য কোনও জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেই। সচিব ও সভাপতির আধুনিক কক্ষের সঙ্গে ডি এস এতে রয়েছে আধুনিক বিশ্রাম কক্ষ ও। কাজ চলছে জিম সহ আধুনিক লাইব্রেরীর। দুটোরই অধিকাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। জিমের কাজ তো প্রায় ৮০% সম্পূর্ন। এবার শুরু হচ্ছে ব্রাঞ্চ সচিবদের কক্ষ নির্মাণের কাজও। শনিবার থেকে এর নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সংস্থার প্রশাসনিক ভবন আরও সুন্দর হবে। এসবের মধ্যেই আলাদা করে উল্লেখ করতে হবে সংস্থার কনফারেন্স হলের। যেখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধে রয়েছে। তবে এতকিছুর পরও কিন্তু কয়েকটি ক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে রয়েছে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। স্টেডিয়ামে এখনো একটি প্রেসবক্স নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। কোনো বড় টুর্নামেন্ট অথবা ম্যাচ হলে ‘টেম্পোরারি’ প্রেসবক্স এর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এছাড়াও পরিকাঠামোগত দিক থেকে আরও কয়েকটি বিষয় খুবই জরুরি। তবে অর্থের অভাবে সে কাজ গুলি করা সম্ভব হচ্ছিল না। এবার কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং।
আসলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্যের ডিরেক্টর অফ স্পোর্টস বিভাগ থেকে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য একটা এস্টিমেট চেয়ে পাঠিয়েছিল। তবে তখন নির্বাচনের আচরণবিধি লাগু হওয়াতে এস্টিমেট পাঠানো সম্ভব হয়নি। এরপর চলে আসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ফলে সংস্থার পক্ষে এস্টিমেট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তবে আর বিলম্ব করতে রাজি নয় সংস্থা। শীঘ্রই যাতে পরিকাঠামোর উন্নতিতে সেই এস্টিমেট তৈরি করে বিভাগকে পাঠানো যায়, এর জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে ডিএসএ।

এস এম দেব ক্রিকেট প্যাভিলিয়নের উপর তলায় আধুনিক প্রেসবক্স সহ অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য ইতিমধ্যে একটি সার্ভে হয়েছে। এই সার্ভের সময় উপস্থিত ছিলেন স্টেডিয়াম শাখার সচিব দেবাশিস সোম। এস্টিমেট তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাখা সদস্য তথা পেশাগত ভাবে ইঞ্জিনিয়ার সৌগত সোমকে। সার্ভের দিন তিনিও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন পূর্ত বিভাগ (বিল্ডিং)এর অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রনধীর রঞ্জন পাল ও সহকারি বাস্তুকার পার্থ প্রতিম নাথ। এক থেকে দেড় কোটি টাকার একটি এস্টিমেট তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন সচিব বিজেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘ডিরেক্টর অফ স্পোর্টস থেকে এ বছর জানুয়ারিতে আমাদের কাছে একটি এস্টিমেট চেয়ে পাঠিয়েছিল। তারা জানতে চেয়েছিল পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য আমাদের কত টাকার দরকার। তবে সেই সময়ে নির্বাচন বিধি লাগু থাকায় এস্টিমেট পাঠানো সম্ভব হয়নি। এরপর চলে আসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। তবে এবার আমরা আর দেরি করছি না। ইতিমধ্যেই এস্টিমেট তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে।’ বিজেন্দ্র আরো বলেন, ‘আমরা এক থেকে দেড় কোটি টাকার একটি এস্টিমেট পাঠাবো। প্রেসবক্স সহ আরো বেশ কিছু পরিকাঠামোর কথা মাথায় রেখেই এস্টিমেট তৈরি করা হবে।’ এটা অনুমোদন পেলে সংস্থার পরিকাঠামোগত উন্নতিতে অনেকটাই সাহায্য হবে বলে মনে করেন তিনি|

সংস্থার স্টেডিয়াম সচিব দেবাশীষ সোম বলেন, ‘স্টেডিয়াম শাখার সদস্য সৌগত সোম কে এস্টিমেট তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পূর্ত বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা একটা সার্ভেও করেছি। সম্ভবত এক সপ্তাহের মধ্যেই এস্টিমেট তৈরি হয়ে যাবে। তারপর অনুমোদনের জন্য সেটা দিসপুর পাঠানো হবে।’

Comments are closed.