The family in Barak Valley that unites on the occasion of Jhulan: 69th year of celebration
India undoubtedly is the capital of festivals, for Bengalis, it is ‘baro mash-e tero parbon’, which roughly translates to, there are more festivals than the number of months in a year. Many festivals and traditions couldn’t stand the test of time or are on the verge of becoming just folklore. One such tradition is the jhulon Purnima.
It is an age-old tradition among the Krishna devotes, inspired by the swing pastimes of Krishna and his consort Radha during their romance in the idyllic pastoral groves of Vrindavan. Earlier, this tradition was celebrated in every colony, lane and house. With time, it is getting limited just to the temples dedicated to Lord Krishna.
The residence of Late Manindra Das in Latu village of Karimganj is among the last ambassadors of the Jhulan Jatra tradition. This year, the house in a village bordering Bangladesh stands in their 69 years of Jhulan. The tradition started by Manindra Das is being kept alive by his next generations. Like every year, this year too the celebration has started with its full glory from Monday.
Earlier, young girls would dress up as Radha and Krishna, along with that stories from Puranas were told. But with time traditions started to take a new shape and some got lost. But the kirtans continue even today with different kirtan groups coming from across the valley. Even today, the rituals from Gandharva are followed. Women make the clothes for Radha and Krishna on their own. The idols of both Krishna and Radha are established on a royal hanging throne and are decorated with full glory.
On the last day, on Purnima, the kirtan starts from dawn and ends the next dawn. The sound of kirtan gradually becomes melancholic which announced the time for the departure of loved ones, who untie for this one festival. The next morning songs related to the ending of the jhulan Jatra and ends with praises and scattering of sweets in the name of Hari.
৬৯তম বর্ষ: ঐতিহ্যের টানে আজও দোলে লাতুর পাক্কা বাড়ীর ঝুলনের দোলনা ।
— সুদীপ দাস
বৈচিত্রময় ও বিভিন্ন উৎসবমুখর ভারতবর্ষের এক প্রান্তিক শহর করিমগঞ্জ। এই শহরেরই বাংলাদেশ সীমান্তঘেষা গ্রাম লাতু । ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের শহিদ ভূমি লাতু বিশ্বের দরবারে পরিচিত নাম । দেশ স্বাধীনের আগে করিমগঞ্জ মহকুমার সদর ছিল লাতু । কালের নিষ্ঠুর পরিহাসে মহকুমা বা জেলা সদর থেকে লাতু বঞ্চিত হলে কিন্তু বহু ঐতিহ্য বহন করছে সীমান্তের এই গ্রাম ।
গ্রাম বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণের মতো বহু ঐতিহ্যের সাক্ষী থাকা ঝুলন যাত্রা লাতু এলাকার একটি পুরনো ঐতিহ্য । একটা সময় ছিল, যখন লাতুর পাক্কাবাড়ীর কর্ণধার প্রয়াত মনীন্দ্র দাসের বিচক্ষণ তত্ত্বাবধানে বারোমাসে তেরো পার্বনে সারাবাড়ী ও গ্রাম মুখরিত থাকত । বর্তমানে যেন সেই জৌলুষ ও ঠাটবাট অনেকটাই স্মৃতি । কিন্তু, লাতুর পাক্কা বাড়ির ঝুলনযাত্রা উৎসব এখনো তার গৌরব ধরে রেখেছে ।
এবার ৬৯তম বছরে পা দিয়েছে সেই ঐতিহ্যবাহী ঝুলন যাত্রা । যদিও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে ঝুলনের উৎসাহ এখন অনেকটাই ফিঁকে হয়ে এসেছে । প্রাচীন অনেক বাড়ীতে অধুনা লুপ্ত এই উৎসব । তবে পুরনো এই প্রথা এখনও টিকে রয়েছে লাতুর পাক্কাবাড়িতে। পুরনো সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রয়াত মনীন্দ্র বাবুর উত্তরসূরিরা । এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি । উৎসব শুরু হয়েছে সোমবার থেকে । ঝুলন যাত্রা উৎসব ঘিরে এক সময় ছিল সাজো সাজো রব । দূরদূরান্ত থেকে আসতেন অভ্যাগতরা । শ্রীকৃষ্ণের এই ঝুলনযাত্রা ঘিরে দাস পরিবারে আনন্দের জোয়ার বইতো । তবে ঐতিহ্যকে ধরে রাখলে এখন আর আগের মতো সেই জৌলুস নেই ।
একসময় মানুষের মধ্যে এই উৎসব নিয়ে প্রচণ্ড উৎসাহও ছিল। অল্পবয়সী মেয়েদের রাধাকৃষ্ণ সাজানোর পাশাপাশি পৌরাণিক নানা কাহিনির ছবিও ফুটিয়ে তোলা হত । লাতুর পাক্কা বাড়ী ছাড়া,লাতু কালীবাড়ি, মদনমোহন বাড়ী, ভট্টাচার্য বাড়ির মতো বিভিন্ন জায়গায় এই ঝুলন হত। সঙ্গে শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের প্রীতি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে চলতো নানা অনুষ্ঠান । তবে ইদানিংকালে এই নিয়ে আগ্রহ অনেকটাই কমে এসেছে যার মূল কারন, প্রথমত উদ্যোক্তার অভাব, গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হয়েছেন অনেকে, দ্বিতীয় আর্থিক মন্দাবস্থা । বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যারা আগে ঝুলনের উদ্যোগ নিতেন, তাঁরা অনেকেই আজ আগ্রহ হারিয়েছেন । যদিও লাতুর প্রয়াত মনীন্দ্রবাবুর পাক্কাবাড়ীতে এখনও ঝুলনযাত্রা উৎসবে উৎসাহে ভাটা পড়েনি একটুকুও।
পাক্কা বাড়ির ঝুলনযাত্রার শুরুর দিকের ইতিহাস ঘাটলে প্রথম কবে এই বাড়ীতে শ্রীগোপাল বিগ্রহ আসেন, সে ব্যাপারে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে । বাড়ীর মেয়ে অলি, ফুলি এদের খেলার সঙ্গী ছিলেন এই গোপাল বিগ্রহ। কাগজের বাক্সে অন্যান্য খেলনার সাথে গোপাল বিগ্রহকেও রাখা হতো । কাছাড়, শালগঙ্গার শ্রীশ্রীরাধাবল্লভ রাইকালাঁচাদ আশ্রমের প্রাণপুরুষ অনন্তশ্রী প্রভুপাদ ব্রজরমণ গোস্বামী লাতু অভিযানকালে পাক্কাবাড়ীতে অনেকবার এসেছিলেন ও প্রহরব্যাপি নামসংকীর্ত্তনাদি হতো । তখন তিনি বলেছিলেন যে “এই গোপাল কাগজের বাক্সে নয়, রাজসিংহাসনে থাকবেন।” পাক্কা বাড়িরই প্রয়াতা অনিমা দাস(ফুলি) কোনো একসময় স্বপ্ন নির্দেশিতও হন এইব্যাপারে । কালক্রমে দৈবের ইচ্ছায় বাড়ীতে নাটমন্দির সহ পাকা শ্রীমন্দির গড়ে শ্রীগোপাল বিগ্রহ স্থাপিত হন ও ১৩৬০ বাংলায় প্রয়াত মনীন্দ্র দাস বৃন্দাবন তীর্থ করে আসার পর থেকে শুরু হয় নিত্য সন্ধ্যাকীর্ত্তন এবং শ্রীশ্রীগোপালজিউর বাৎসরিক ঝুলনযাত্রা উৎসব, যা এখন অবধি পালিত হয়ে যাচ্ছে ।
বর্তমান সময়েও শ্রীশ্রীগোপাল ও বাকী বিগ্রহগণের পরিধেয় বস্ত্র অতি নিষ্ঠাসহকারে তৈরী করেন এই বাড়ীরই আরেক মেয়ে, বিজু । এখানে গন্ধর্বানুষ্ঠিত মতে ঝুলনযাত্রা পালিত হয় । ঝুলন পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতি সন্ধ্যায় আজও বসে সঙ্গীতের আসর । পুরনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এখন দাস পরিবারের বংশধরেরা ঝুলনের সময় সঙ্গীত আসর ধরে রাখেন । সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকেন বিভিন্ন শিল্পীরা । সেই আকর্ষণে অনেকটা ভিড় লেগে থাকে উৎসবের সন্ধ্যায় । রসিক শ্রোতারা সঙ্গীতের আসর উপভোগ করতে এখন ছুটে আসেন পাক্কা বাড়ির আসরে । প্রতি সন্ধ্যায় শ্রীগুরুবন্দনা ও শ্রীশ্রীগোপালজিউর সন্ধ্যারতির সাথে কীর্ত্তনের সূচনা হয়। পরে “প্রণমহ শ্রীগৌরসুন্দর বিশ্বম্ভর”, “হৃদয়হেণ্ডুরাপরি উদয় হও হে গৌরহরি”, ” ঝুলেরে গৌরাঙ্গ রসিয়া নাগর” ইত্যাদি বিভিন্ন ঝুলনলীলা বিষয়ক কীর্ত্তন পরিবেশন হয়। আগেকার দিনে লাতু গ্রামের ও বাইরে থেকেও অনেক গাইয়েরা আসতেন । তখনকার দিনের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন কীর্ত্তনীয়াদের মধ্যে ছিলেন রাইরঞ্জন শর্মা, বীরেন্দ্র নাথ, মোতিলাল নাথ, বিশ্বনাথ দে( সন্তই), নরেশ পোদ্দার, রুক্মিনী সিংহ, ভবানন্দ বৈষ্ণব, শচীন্দ্র গোস্বামী, সত্যেন্দ্র চক্রবর্তী, রসসিন্ধু ভট্টাচার্য্য, কন্দর্প দাস ও কুমুদলাল নাথ। তাদের বেশিরভাগই আজকের দিনে প্রয়াত । কুমুদলাল নাথ বর্তমানে বয়সের ভারে অতি রুগ্ন ও অক্ষম । শেষের দিন অর্থাৎ পূর্ণিমার দিনে সারা রাত্রি জাগরণ ও কীর্ত্তন হয় । শেষরাত থেকে শুরু হয় বিদায়ের ও খেদ বিষয়ক বিভিন্ন পদকীর্ত্তন। গানের কথা ও সুরে আবহাওয়া ভারী হয়ে ওঠে প্রিয়জনের বিচ্ছেদ বেদনায়। অবশেষে ভোরবেলা কুঞ্জভঙ্গের গান ও হরির লুটের মাধ্যমে পাঁচদিন ব্যাপী উৎসবের সমাপ্তি ঘটে । এরপর শুরু হয় আগামী বছরে
Comments are closed.