Also read in

Justice Ranjan Gogoi shows a ray of hope to the helpless poor in Silchar

শিলচরের আইন শিবিরে অসহায় গরিব লোকদের আলোর পথ দেখালেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ

অবহেলিত, অসহায়, পিছিয়ে পড়া মানুষের বাস্তব অবস্থান পরিদর্শন করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ,গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি অজিত সিং সহ অন্যান্য বিচারকরা। সরকারি প্রকল্প ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশা নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই গ্রাম মফস্বলের গরিব ও দুঃস্থ লোকদের ভিড় জমে উঠেছিল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। উল্লেখ্য,এখানেই বরাক উপত্যকায় প্রথম বারের মত আইন সেবা শিবিরের আয়োজন করে রাষ্ট্রীয় আইন সেবা কর্তৃপক্ষ। সহযোগিতা ও ব্যবস্থাপনায় ছিল রাজ্য ও জেলার ডি এল এস এ কর্তৃপক্ষ। এই শিবিরের উদ্দেশ্য ছিল সমাজের পিছিয়ে পড়া, গরীব, অসহায় লোকদের সরকারি প্রকল্প ও সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়া। হাজার তিনেক মানুষের ভিড় ছিল এদিন। এই শিবিরে উপস্থিত সমাজের বঞ্চিত ও নিপীড়িত লোকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সরেজমিনে দেখতে দিল্লি থেকে ছুটে আসেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।

এদিনের আইনি শিবিরের শুরুতে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে রাজ্য সরকারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, সমাজ কল্যাণ বিভাগ সহ বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা বক্তব্য রাখেন। তারা তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।
যদিও বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সহ অন্যান্য বিচারপতি ও বিচারকরা এদিন কোনো বক্তব্য রাখেন নি। তারা শুধু পরিস্থিতি ও আইন শিবির পরিদর্শন করেছেন। সাংবাদিকদের অনুরোধ সত্বেও বিচারপতিদের কাছ থেকে এই আইন শিবিরের বিষয়ে কোন অভিমত পাওয়া যায়নি। তবে আসাম সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগের সচিব ও সঞ্চালক মীনাক্ষী সুন্দরম বলেন, এটা একটি মহতী উদ্যোগ। এই শিবিরের মাধ্যমে গরিব ও অসহায় লোকেরা অনেক উপকৃত হবেন। তিনি আরও বলেন, একদিনের শিবির, তাই যথাসম্ভব সফল করার প্রয়াস রয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।

 

Supreme Court Judge, Ranjan Gogoi in Silchar

এদিন এই শিবিরে বিভিন্ন এনজিও, ব্যাংক সহ রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের স্টল খোলা হয়। মোট ৩২ টি স্টল ছিল। সব বিভাগের আধিকারিকগণ শিবিরে উপস্থিত থেকে গরিব লোকেদের প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করেন।
তাছাড়া এদিন বিকলাঙ্গ লোকদের মধ্যে বিনামূল্যে পা ও অন্যান্য অঙ্গ বিতরণ করা হয়। এতে বরাক উপত্যকার তিন জেলার বিকলাঙ্গরা উপকৃত হবেন। জয়পুর থেকে আসা এনজিও এই কৃত্রিম অঙ্গ প্রদান করছে। তারা এ নিয়ে দেশে এধরনের শিবিরে এ পর্যন্ত ১৭ লক্ষ লোকদের কৃত্রিম অঙ্গ বিনামূল্যে প্রদান করেছে।

এই শিবিরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিসি,এসপি সহ সব আধিকারিক, কর্মচারি, শিলচর আদালতের সব বিচারকদের উপস্থিতি এক ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও সুদূর গ্রামাঞ্চল থেকে গরিব লোকেরা আসে এদিনের আইন সেবা শিবিরে যোগদানের জন্য। তবে শিবির কতটুকু সফল হয়েছে তা মূল্যায়ন করা এখনই সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহের পর বোঝা যাবে শিবিরের সাফল্যের আসল বাস্তবতা।
আইন সেবা কর্তৃপক্ষের দ্বারা আয়োজিত শিবিরের ৩২টি স্টল ঘুরে দেখলেন রঞ্জন গগৈ। সুরক্ষা ও সকলের জন্য ন্যায় – এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া কার্যত রঞ্জন গগৈর এদিনের আইন শিবিরে উপস্থিত থাকার একমাত্র লক্ষ্য ছিল।

Comments are closed.