Also read in

Flood threatens whole of Barak Valley; Parts of Karimganj, Hailakandi already under water

সমস্ত বরাক উপত্যকায় বন্যার পদধ্বনি : করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত

সমগ্র বরাক জুড়েই বন্যার পদধ্বনি। করিমগঞ্জ জেলাতে পুনরায় ভয়াবহ বন্যার ফলে প্রায় সহস্রাধিক গ্রাম জলের নিচে চলে গেছে। ১ মাসের ভেতর এটা দ্বিতীয় ভয়ংকর বন্যা। মূলত প্রচণ্ড বর্ষণ এবং মিজোরাম থেকে নেমে আসা জলস্রোতের ফলেই লংগাই এবং সিংড়া নদী গতকাল থেকে বিপদসীমা অতিক্রম করে ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন স্থানে বিপজ্জনক অবস্থায় নদী দুইটার বাঁধ রক্ষার ক্ষেত্রে স্থানীয় লোক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যদিও ইতিমধ্যে করিমগঞ্জের বাদাগাঁওতে লঙ্গাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে জল প্রবেশ করতে শুরু করেছে। অন্যদিকে পাথারকান্দি বাগাডর এবং দক্ষিণ করিমগঞ্জ এর গরুআলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পশ্চিম ধলাই বিল এলাকাতে লঙ্গাই নদীর বাঁধ জল স্রোতে ভেসে গেছে, যার ফলে অনেকগুলি গ্রামে জল প্রবেশ করছে। এখন পর্যন্ত অনেকগুলো রাস্তা জলের নিচে চলে গেছে, তাই যাতায়াত ব্যবস্থাও বিঘ্নিত হচ্ছে। জল সম্পদ বিভাগ যথাসময়ে ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে এই দ্বিতীয়বার করিমগঞ্জ জেলা বন্যার কবলে। দক্ষিণ করিমগঞ্জ পাথারকান্দি এবং রাতাবাড়ি সমষ্টির সহস্রাধিক গ্রাম বর্তমানে বন্যার কবলে। বহু লোক ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করেছে এবং বর্তমানে দক্ষিণ করিমগঞ্জ বড়ুয়ালা পঞ্চায়েত এলাকায় বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে।

করিমগঞ্জ জেলার নদীগুলির জলস্ফীতিতে ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণের মধ্যে জল পরিশোধক সামগ্রির প্যাকেট তুলে দিতে রাজ্যের বন পরিবেশ আবগারি ও মৎস্য বিভাগের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য নির্দেশ দিয়েছেন। আজ জেলা উপায়ুক্তর সভাগৃহে আয়োজিত পর্যালোচনা বৈঠকে মন্ত্রী বন্যার সময় স্বাস্থ্য ও পশুপালন বিভাগকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে থাকা সাতটি মোবাইল মেডিকেল ভ্যান চা বাগান এলাকায় এবং এবং এএনএম স্বাস্থ্যকর্মীদের বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠাতে মন্ত্রী শুক্লবৈদ্য নির্দেশ দিয়েছেন।

করিমগঞ্জ জেলার নদীগুলির জলস্ফীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের মধ্যে জল পরিশোধক সামগ্রীর প্যাকেট তুলে দিতে রাজ্যের বন,পরিবেশ, আবগারি ও মৎস্য বিভাগের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য নির্দেশ দিয়েছেন। আজ জেলা উপায়ুক্তের সভাগৃহে আয়োজিত পর্যালোচনা বৈঠকে মন্ত্রী বন্যার সময় স্বাস্থ্য ও পশুপালন বিভাগকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে থাকা সাতটি মোবাইল মেডিক্যাল ভ্যান চা বাগান এলাকায় এবং এএনএম স্বাস্থ্যকর্মীদের বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠাতে মন্ত্রী শুক্লবৈদ্য নির্দেশ দিয়েছেন।

বন্যার জলে প্লাবিত হাইলাকান্দির শতাধিক গ্রাম, নেই ত্রান, সর্বত্রই হাহাকার
বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ, বিপর্যস্ত জনজীবন
হাইলাকান্দি, ১৩ জুন
ধলেশ্বরী ও কাটাখাল নদীর প্রবল জলস্ফীতিতে হাইলাকান্দি জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। ধলেশ্বর ভৈরবী জাতীয় সড়কের লালপানি, কার্তিকছড়া অংশ সহ লালা ও কাটলিছড়া রাজস্ব চক্রের একাধিক পূর্ত সড়কের উপর দিয়ে বন্যার জল বয়ে যাওয়ার দরুন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
স্তব্ধ হয়ে পড়েছে যোগাযোগ। বাড়ি ঘর ছেডে কম করেও ত্রিশটি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার লোকজন। অন্যদিকে গ্রাম গ্রামান্তরে বন্যার জল ঢুকে পড়ায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন অনেক গ্রামের জনগন। তাদের উদ্ধারে এন ডি আর এফ বাহিনীকে কাজে লাগানো হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সহ ক্ষয় ক্ষতির পরিমান এসেসমেন্ট করতে সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।জেলার লালা ও কাটলিছড়া রাজস্ব চক্রের শতাধিক গ্রামের বাড়ি ঘরে বন্যার জল প্রবেশ করায় ওই সব গ্রামের লোকজন বাধ্য হয়ে জিনিষপত্র, গরুবাছুর নিয়ে স্কুল এবং অন্যান্য নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। সোমবার থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মিজোরামের লুসাই পাহাড় সহ দক্ষিন হাইলাকান্দিতে লাগাতার বৃষ্টির দরুন ধলেশ্বরী ও কাটাখাল নদীতে প্রবল জলস্ফীতি দেখা দেয়। কাটাখাল নদীর তীরবর্তী জল সম্পদের ভাংগা বাঁধ দিয়ে লালা রাজস্ব চক্রের পূর্ব হাইলাকান্দির নিমাইচান্দপুর, মাটিজুরি, সোনাপুর, কালাছড়া ইত্যাদি এলাকার গ্রামে বন্যার জল ঢুকে পড়ে। হাইলাকান্দি ধোয়ারবন্দ শিলচর সড়কের মাটিজুরী এলাকায় সড়কের উপর দিয়ে জল প্রবাহিত হচ্ছে। অনুরূপভাবে লালা রাজ্যেশ্বরপুর কাটাগাঁও সড়কের রাজ্যেশ্বরপুর সপ্তম খন্ড চৌদ্দ হালি এলাকা, কালাছড়া সামারিকোনা সড়ক, লালাছড়া বিলাইপুর সড়ক,কালাছড়া নিমাইচান্দপুর, কাটলিছড়া বাজিমারা ধলাই সড়ক,সোনাছড়া রূপাছড়া সড়ক, কাটলিছড়া ঘাড়মুড়া সড়কের কার্তিকছড়া অংশের সড়কের উপর দিয়ে বন্যার জল বয়ে যাওয়ার দরুন ওই সব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল সহ লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। লালার বামুনলৈকাই, রাজ্যেশ্বরপুর অস্টম খন্ডের মাধবপুর, ওয়াংকাইলেইকাই, তসলা ইত্যাদি এলাকায় জল সম্পদ বিভাগের বাঁধ ভেংগে বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত করেছে।
কাটাখাল নদীর পূর্ব তীরবর্তী এলাকায় সবচাইতে বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হাইলাকান্দির মাটিজুরি, সুদর্শনপুর, সহ লালা রাজস্ব চক্রের নিমাইচান্দপুর, সোনাপুর, কালাছড়া,উত্তর জষ্ণাবাদ, রাজ্যেশ্বরপুর সপ্তম, অস্টম, নালুবাক, কাটাগাঁও, নিজবার্নারপুর, ভরতপুর, লালাছড়া, বড়নুনাই, লালপানি, ত্রিগংগা, কাটলিছড়া রাজস্ব চক্রের ধলাই মলাইর বিস্তীর্ণ এলাকা, বাজিমারা, রংপুর চতুর্থ খন্ড,টুকেরগ্রাম, বড়কি চর, সাহাবাদ প্রথম খন্ড, হরিশনগর, মনিপুর বাগান বেদবস্তি এলাকা,কাটলিছড়া গ্রান্ট, বাংলাথল, কার্তিকছড়া, লালপানি, নিস্কর, ধলাই বিলগাঁও, সুলতানি, পালইছড়া ইত্যাদি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে বন্যার জল ঢুকে পড়ে প্লাবিত করেছে। রংপুর চতুর্থ খন্ডের টুকেরগ্রাম, ও বড়কিচর এলাকার অর্ধ শতাধিক পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার সকালে গরু বাছুর নিয়ে কাটলিছড়া জি সি এম ভি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। ধলাই বিলগাঁও র বন্যাক্রান্তরা ই এন্ড ডি বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। কাটলিছড়া জি সি এম ভি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবারকে এদিন খাদ্যের ব্যবস্থা করে দেন প্রধান শিক্ষক প্রনব দেব। এদিন স্কুলে মিড ডে মিল কর্মসূচির রান্নাঘরে রান্না করে বন্যা দুর্গতদের খাওয়ানো হয়। অন্যদিকে এদিন বিভিন্ন বন্যাক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যা দুর্গতদের অবস্থার খোঁজ খবর নেন বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর, ডিডিসি এফ আর লস্কর,আরক্ষী অধিক্ষক মহনীষ মিশ্র, এডিশ্যনাল এস পি জগদীশ দাস, মহকুমাশাসক জেমস আইন্ড, সহ পুলিশ ও এন ডি আর এফ বাহিনী সহ জেলা বিজেপির এক প্রতিনিধিদল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক রাজস্ব চক্রের পাটোয়ারিদের বন্যাক্রান্ত এলাকায় গিয়ে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান সরেজমিনে পর্যবেক্ষন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত জেলা শাসক তথা ডিডিসি এফ আর লস্কর, বুধবার দিনভর জেলার বন্যাক্রান্ত মাটিজুরি, সুদর্শনপুর, রাজ্যেশ্বরপুর, কাটলিছড়ার সাহাবাদ, বাজিমারা, লালপানি, পালইছড়া, সুলতানিছড়া ইত্যাদি এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন।। ভারপ্রাপ্ত উপায়ুক্ত এফ আর লস্কর জানান, যেহেতু হঠাৎ করে নদীর জলস্ফীতিতে বন্যার জল ঢুকে গ্রাম জনপদ প্লাবিত করেছে তাই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন। বন্যার জল তাড়াতাড়ি নেমে না গেলে ত্রান সামগ্রীর ব্যাবস্থা করা হবে। এজন্য তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। তাই বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর সহ ক্ষয়ক্ষতি এসেসমেন্ট করতে সার্কল অফিসার সহ পাটোয়ারিদের কাজে লাগানো হয়েছে। সাহাবাদ প্রথম খন্ডে জলসম্পদ বিভাগের বিপজ্জনক বাঁধের অংশটি এদিন এফ আর লস্কর পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যাবস্থা নিতে জল সম্পদ বিভাগের কার্যনির্বাহী বাস্তুকারকে নির্দেশ দেন।

 

কাটলিছড়ার বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্করের নেতৃত্বে এ আই ইউ ডি এফের এক প্রতিনিধিদল এদিন কাটলিছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বন্যাক্রান্ত গোটা এলাকা পরিদর্শন করে জনতার খোঁজ খবর নেন। বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর জানান, ধলেশ্বরী ও কাটাখাল নদীর প্রবল জলস্ফীতিতে সবচাইতে বেশি গ্রাম, জনপদ প্লাবিত হয়েছে কাটাখাল নদীর পুর্ব তীরবর্তী এলাকায়। লালাছড়া, সোনাছড়া, রূপাছড়া, নিজবার্নারপুর, ঝালনাছড়া, ধলাই মলাই এলাকার ন’টি খন্ড এলাকার বিস্তির্ন গ্রাম বন্যার জলে ড়ুবে গেছে। একই ভাবে পালইছড়া, সুলতানিছড়া, কারিছড়া, অলইছড়া, নিস্কর, লালপানি, কাটলিছড়া গ্রান্ট, বাজিমারা, রংপুর চতুর্থ খন্ড, বলদাবলদি ইত্যাদি এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর জানান, কাটলিছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বন্যাক্রান্তরা বাড়ি ঘর ছেঁড়ে কম করেও বিশটি আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। শিবির গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কাটলিছড়া জি সি এম ভি স্কুল, কারিছড়া এল পি স্কুল, মাধবপুর এল পি স্কুল, বলদাবলদি জি পি অফিস, বলদাবলদি পি টি বেসিক স্কুল, পুর্ব সিট, রেল লাইন, সাহাবাদ ২৬৪ এল পি স্কুল , ধলাই হাজি মজর আলি এম ই মাদ্রাসা, ধলাই এম ই স্কুল, কাড়ারপার এল পি স্কুল, ১৯০ নং টুকের গ্রাম এল পি স্কুল, পালইছড়ার ৬৮৬ আমালা এল পি, হাজি আস্কর আলি এল পি পালইছড়া ই জি এস ইত্যাদি। এই সব শিবিরে হাজার জনতা আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান বিধায়ক সুজাম উদ্দিন। বলেন, শিবিরে আশ্রিতদের খাদ্য সামগ্রী প্রদানের জন্য ব্যাবস্থা নিতে উপায়ুক্তকে আহবান জানানো হয়েছে। আরক্ষী অধিক্ষক মহনীষ মিশ্র এদিন বন্যাক্রান্ত লালার রাজ্যেশ্বরপুর সপ্তম খন্ড এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সংবাদমাধ্যম কে জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত।। প্রয়োজনে সেনা বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে। বলেন, এন ডি আর এফ বাহিনী র নৌকা দিয়ে মঙ্গলবার রাতে রামনাথপুর এলাকায় উদ্ধার অভিয়ান চালানো হয়েছে। এবার ওই নৌকা নিয়ে এসে রাজ্যেশ্বরপুর সপ্তম খন্ডের জল বন্দীদের উদ্ধার করতে তিনি পুলিশককে নির্দেশ দেন। হাইলাকান্দি জেলা বিজেপির পক্ষে হীরকজ্যোতি চক্রবর্তী, সন্দিপন পাল, সঞ্জয় দে, সৌরভ শর্মা মজুমদার, বিভাস সিনহা, নিটন পাল, প্রমুখ এদিন হাইলাকান্দির বন্যাক্রান্ত , রাজ্যেশ্বরপুর, বাজিমারা, লালপানি ইত্যাদি অঞ্চল পরিদর্শন করে বন্যা দুর্গতদের খোঁজ খবর নেন। অন্যদিকে এদিন বিজেপি নেতা গোবিন্দ লাল চ্যাটার্জী, লালার পুরপতি পুলক নাথ, চিন্ময় নাথ মজুমদার প্রমুখ লালার কালাছড়া অঞ্চল পরিদর্শন করে বন্যাক্রান্তদের খোঁজ খবর নেন। জেলা বিজেপি সম্পাদক সঞ্জয় দে জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে ত্রান প্রদানের জন্য ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।। এদিকে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ধলেশ্বরী ও কাটাখাল নদীর জল বাড়ছে। ঘারমুড়ায় ধলেশ্বরী নদী বুধবার সন্ধ্যায় ৩৬’৪১ সি এম এ প্রবাহিত হচ্ছে। ওই স্থানে বিপদসীমা হচ্ছে ২৮’০৫ সি এম। অন্যদিকে মাটিজুরীতে কাটাখাল নদী ২২’৪০ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই স্থানে বিপদসীমা হচ্ছে ২০’২৭ সি এম। জল এখন পর্যন্ত বাড়তে থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির আর ও অবনতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন শিবিরে খাদ্যের হাহাকার দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয় নি। যদিও এ পর্যন্ত জেলায় ষোলটি ত্রান শিবির খোলা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।

বরাক নদীর জলসীমাও বিভিন্ন স্থানে বিপজ্জনকভাবে বেড়ে চলেছে। যদিও অন্নপূর্ণা ঘাটে বরাক নদীর জলসীমা আজ সন্ধ্যা সাতটায় বিপদ চিহ্নের প্রায় ৫০ সেমি নিচে ছিল। তবে বদরপুরে বরাক নদী ইতিমধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। উৎসস্থলে যদি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তবে আগামীকালই বরাক নদী সমস্ত অঞ্চলে বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Comments are closed.