Laptops stolen from an NRC office in Hailakandi
শিয়রে এন আর সি র খসড়া প্রকাশের প্রস্তাবিত দিনক্ষণ। আর এরই মধ্যে হাইলাকান্দি জেলা থেকে এন আর সি র ফেমিলি ট্রি হিয়ারিং ভেরিফিকেশনের কাজে ব্যবহৃত তিনটি ল্যাপটপ খোয়া গেল।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে এক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে আটক করেছে। যদিও মূল অভিযুক্ত ফেরার। চাঞ্চল্যকর ল্যাপটপ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে লালা সার্কোল অফিসের এন আর সি সেলে ।
পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে এক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে আটক করেছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত আরেক অপারেটরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মিসিং এন্ট্রি দেওয়া হয়েছে। লালা পুলিশ তদন্তে নামলেও এখন পর্যন্ত ল্যাপটপ উদ্ধার কিংবা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে নি। জানা গেছে, গত তেইশ জুন বেলা এগারোটা নাগাদ লালা সার্কোল অফিসের এন আর সি সেলে তিনটি ল্যাপটপ খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়ে।
লালা ব্লকে রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জির ফেমিলি ট্রি হিয়ারিং ভেরিফিকেশন কেন্দ্রের জন্য ওই ল্যাপটপ সহ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর প্রদান করে উইপ্রো নামের প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানের আই এস এস সার্কোল সুপারভাইজার রাজদীপ দেব ও সাহারুল ইসলাম তাপাদারের তত্বাবধানে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করছিল লালার মনাছড়ার জাকারিয়া হোসেন মজুমদার, ও আপিন প্রথম খন্ডের রিয়াজ আহমেদ লস্কর।
এদিকে তেইশ জুন লেপটপ খোয়া যাওয়ার ঘটনা নজরে আসার পর সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজাররা তদন্তে নেমে দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের উপর সন্দেহ ব্যক্ত করে একটি রিপোর্ট পেশ করেন। লালা সার্কোলের এন আর সি সেলের পক্ষে সি পি এস মিজানুর রহমান খান সাথে সাথেই বিষয়টি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করেন। এন আর সি র দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা উপায়ুক্ত এলডাড ফাইরেনের নির্দেশে সার্কোল সুপারভাইজার মিজানুর রহমান খান লালা থানায় রবিবার রাতে একটি এজাহার জমা দেন।।
পুলিশ সাথে সাথেই আপিন প্রথম খন্ডের বাসিন্দা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রিয়াজ আহমেদ লস্করকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। যদিও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খোঁয়া যাওয়া লেপটপের কোন তথ্য পুলিশ উদ্ধার করতে পারে নি। অন্যদিকে ওই মামলায় অপর অভিযুক্ত মনাছড়া ব্লক ক্যাম্পাসের জাকারিকা হোসেনের কোনো সন্ধান বের করতে পারে নি পুলিশ।
এদিকে সোমবার দুপুরে জাকারিয়ার পিতা মজরফ আলি লালা থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত এজাহার জমা দিয়ে বলেন, রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ লালা সার্কোল অফিস থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে পাঠানো হয় জাকারিয়াকে। তখন সে ঘড় থেকে বের হলেও আর বাড়ি ফিরে যায় নি। নিরুদ্দিষ্ট জাকারিয়াকে উদ্ধার করতে পিতা
মজরফ আলি লালা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Comments are closed.