Lineman dies in Karimganj, locals blame administration
The English version of the story will be uploaded soon.
বিভাগীয় গাফিলতিতে প্রাণ হারাতে হল বিদ্যুৎ কর্মীকে
বিদ্যুৎ বিভাগের চরম গাফিলতির শিকার খোদ বিভাগীয় কর্মী । হাই ভল্টেজ লাইনের ছোবলে প্রাণ গেল এক সহায়ক কর্মীর । এমন ঘটনার জেরে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে সীমান্ত এলাকা ফকিরাবাজারে । প্রাপ্ত তথ্য মতে, বিদ্যুৎ কর্মীর নাম মুক্তেশ্বর ভট্টাচার্য্য (৩৭) । বাড়ি করিমগঞ্জ শহর সংলগ্ন পনেরঘর গ্রামে । করিমগঞ্জ সাব ডিভিশনের অন্তর্গত উত্তর করিমগঞ্জের সরকারি সহায়ক কর্মী মুক্তেশ্বর ওরফে মান্নার মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকাজুড়ে । প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বুধবার আনুমানিক একটার সময় ফকিরাবাজার রয়েল স্কুলের সামনে থাকা ট্রান্সফরমার এর উপর হাই ভল্টেজ লাইনে সাব ষ্টেশন থেকে শাড ডাউন নিয়ে অন্যান্য দিনের মত লাইন মেন্টেইনের কাজ করছিলেন মুক্তেশ্বর । কিন্তু হঠাৎ করে লোড শেডিং থাকার সময় সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতেই বিপত্তি ঘটে । বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রাণ হারান এই কর্মী।
ঘটনায় জানা যায়, ডান হাত কেটে পড়ে মাটিতে । ১১ কেভি লাইনে আটকা পড়ে ছটফট করতে থাকেন তিনি । সঙ্গে সঙ্গে আবার কারেন্ট চলে গেলে বিকট আওয়াজ সহ কালো ধোঁয়া দেখে ছুটে আসেন রয়্যাল স্কুলের ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক সহ এলাকাবাসীরা ।
সঙ্গে সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেন বিভাগীয় কার্যালয়ে । কিন্তু লক্ষণীয়ভাবে বেলা ১.২০ মিনিটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হলেও বেলা ৩.১৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী সহ সদর পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সার্কেল অফিসার রাকেশ ডেকা, পুলিশ অফিসার অংশু রাজকুমার সহ এসডিই পেন্নাই ব্রহ্মণ,জে ই নিরেন্দ্র সিনহা প্রমুখ । মৃতদেহ উদ্ধার করার কোনো পদ্ধতি সহ সামগ্রীর জোগাড় না থাকার দরুন ফের গণরোষের শিকার হন জেই নিরেন্দ্র সিনহা । শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীর সহায়তায় মুক্তেশ্বরের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে ।
Comments are closed.